রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: রাজধানীতে তীব্র গরমের মধ্যে ভোর রাত থেকে নেমে এসেছে স্বস্তির বৃষ্টি। তার সঙ্গে দফায় দফায় বয়ে গেছে কালবৈখাশী ঝড়ও।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন- খুলনা, বরিশাল বিভাগ ও চট্টগ্রামের কিছু অংশ ব্যাতীত দেশের সব বিভাগেই এ অবস্থা বিরাজমান।
তবে সবচেয়ে তীব্র ঝড় বয়ে গেছে রংপুরে, সেখানে ৭৮ কিলোমিটা বেগে হানা দিয়েছে কালবৈশাখী। আর রাজধানীতে ৭০ কিলোমিটার বেগে এয়ারপোর্ট এলাকায় কালবৈশাখী বয়ে গেছে। আগারগাঁওয়ে ঝড়ের তীব্রতা ছিল ৫৫ কিলোমিটার। বেলা ১১ টায় রিপোর্ট লেখার সময়ও চলছিল কালবৈশাখী।
তিনি বলেন, সূর্যের দেখা মিলবে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা এমন আবহাওয়া থাকবে। ২২ এপ্রিল ফের এমন হতে পারে। ২৪ এপ্রিল কেটে যাবে। এক্ষেত্রে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় হবে।
সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে রংপুরে, ৬০ মিলিমিটার। ঢাকায় হয়েছে ৪০ মিলিমিটার বর্ষণ, সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও ছিল।
এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে- রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, কুমিল্লা, নােয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বা তার অধিক বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়াে হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত (পুনঃ) ২ নম্বর নৌ হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানােসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া রাজশাহী, পাবনা, যশাের ও রাঙ্গামাটি অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রী সে. হ্রাস পাবে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।