শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স :সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সদ্য প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আত্মসমর্পণ করা বাকি ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
এর আগে, আজ বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ হেফাজতে টেকনাফ থানার সদ্য প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপকে কক্সবাজার আদালতে নেয়া হয়েছে।
ওসি প্রদীপকে আদালতে নেয়ার আধাঘণ্টা আগে হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিয়াকতসহ ৬ জনকে কড়া প্রহরায় একই আদালতে নেয়া হয়। বুধবার (৫ আগস্ট) এই আসামিরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গেছে। তারা হলেন বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া। এছাড়া, আরও দুই আসামি এখনও আত্মসমর্পণ করেনি।
আসামিদের মধ্যে ওসি প্রদীপ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে চট্টগ্রাম গেলেও বাকিরা পুলিশ লাইনেই ছিলেন। প্রদীপকে সেখান থেকে পুলিশ প্রহরায় কক্সবাজার নেয়া হয়।
এর আগে, সাবেক মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় বুধবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসআই লিয়াকতকে প্রধান ও ওসি প্রদীপকে দুই নম্বর আসামি করে মামলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালতের নির্দেশে বুধবার রাতে টেকনাফ থানায় মামলাটি রুজু হয়। মামলা নম্বর সিআর: ৯৪/২০২০ইং/টেকনাফ। দণ্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।