শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
বরিশালে ৪র্থ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের পর অন্তস্বত্তা হওয়ায় তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতিতার স্কুলের এক শিক্ষক সহ দুই প্রতিবেশী এই ধর্ষনের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছে নির্যাতিতা শিশু ও তার মা।
অপরিনত বয়সে অন্তঃস্বত্তা হওয়ায় ওই ছাত্রীর জীবন ঝূঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শের-ই বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগের সহকারী রেজিষ্ট্রার মৃদুলা কর।
এদিকে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম।
গত ১০ ডিসেম্বর রাতে বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভোজমহল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর (১২ বছর বয়স) ওই ছাত্রীকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিতা শিক্ষার্থী জানায়, প্রায় ৯ মাস আগে তার স্কুলের এক শিক্ষক তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে প্রথম ধর্ষন করে। অপর এক নারী শিক্ষক এই ধর্ষনে সহায়তা করে। এরপর এই খবর স্থানীয়ভাবে লোকমুখে জানাজানি হলে দুই প্রতিবেশী খালী বাসায় ঢুকে একাধিকবার তাকে ধর্ষন করে। এঘটনার পর নির্যাতিতার মা প্রতিবাদ করে বিচার চাইলে তাকেও মারধর করার অভিযোগ ওঠে ধর্ষনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
এদিকে চিকিৎসক মৃদুলা কর জানান, পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই তার শারীরিক অবস্থা জানা যাবে। তারা বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত টাকার অভাবে তার কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেনি। অপরিনত বয়সে অন্তঃস্বত্তা হওয়ায় ওই ছাত্রীর জীবন ঝূঁকিতে রয়েছে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে ধর্ষনকারী শিক্ষক ও দুই প্রতিবেশীর নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়নি বলে জানায় নির্যাতিতা।
সংবাদ কর্মীদের কাছে এ খবর জানার সাথে সাথে নির্যাতিতাকে দেখতে হাসপাতালে যান বরিশালের পুলিশ সুপার। তিনি ওই শিশুর চিকিৎসার ব্যয় বহনের দায়িত্ব নেন এবং এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দেন।
এ ঘটনার বিচার দাবী করেছেন নির্যাতিতার মা।
উল্লেখ্য, নির্যাতিতার মায়ের দায়ের করা মামলায় জুয়েল হাওলাদার নামে এক প্রতিবেশী বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
নির্যাতিতা ওই শিশু ৪ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। তার মা ঝি এর কাজ করে এবং বাবা শাঁক তুলে বিক্রি করে।