সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় গৃহবধুকে জ/বাই করে হ/ত্যা বরিশালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে “নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক” কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা বরিশালে ৩১ দফা দাবিতে ও ধানের শীষের প্রচারণায় আবু নাসের রহমাতুল্লাহ কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী লিমিটেড’র ২১ তম বার্ষিক সাধারণ সভা বরিশালে অপসো স্যালাইন চাকুরীচ্যুত কর্মীদের মহাসড়ক অবরোধ কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর কর্তৃক ভূমিহীন ১৩৬ পরিবারের পুনর্বাসন এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক-২০২৫” উপলক্ষ্যে র‌্যালী, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা আশ্রয়ন প্রকল্পের ২ শতাংশের পরিবর্তে জালিয়াতির মাধ্যমে ২ একর জমির দলিল,  আটক-১ গলাচিপায় মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি সভাপতির সংবাদ সম্মেলন বরিশালে আভাসের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা সর্ম্পন্ন উপকূলের শিশুদের দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাসভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেট ক্লাব উদ্বোধন উপকূল দিবসের দাবীতে৭০ এর ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন বরিশাল কারাগারে ফ্যাসিস্ট দুই কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় চলছে অনিয়ম দুর্নীতি মহিপুরে ৩৭ কেজির এক ‘কালো পোয়া’ বিক্রি একলক্ষ ১১ হাজার পাখি শিকার করে লাইভে রান্না, যুবকের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড
গ্রাম বাংলার উপকারী তালগাছ রোপনে নেই কারো আগ্রহ!

গ্রাম বাংলার উপকারী তালগাছ রোপনে নেই কারো আগ্রহ!

Sharing is caring!

মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ গ্রাম বাংলার সুপরিচিত ঐতিহ্যবাহী তালগাছ কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। তালগাছে এখন আর দেখা যাচ্ছে না বাবুই পাখির বাসা। বাংলা সাহিত্যে তালগাছ নিয়ে রয়েছে নানা গল্প, কবিতা ও ছাড়া। এক সময় উপকূলীয় গলাচিপার বিভিন্ন বাড়ি ও রাস্তার দুপাশে সারি সারি তালগাছ দেখা যেত। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে পারছে না তালগাছ। বর্তমানে ঢাক ঢোল পিটিয়ে তালগাছ রোপনের জন্য জনে জনে অনুরোধ করলেও সাধারণের মধ্যে সেই আগ্রহ আর দেখা যাচ্ছে না।
জানাগেছে, তালগাছ পাম গোত্রের অন্যতম একটি দীর্ঘ গাছ। এটি ৩০ থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। একটি তালগাছ সাধারণত একশ’ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকে।
তাল একটি গ্রীষ্মকালীন ফল । তালের বীজ ও ফল দুটোই খাওয়ার উপযোগী। কাঁচা তালের বীজ বা শাঁস খেতে খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। কাঁচা তালের শাঁস মানুষের শরীরের চাহিদা মেটায়। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, পটাশিয়াম, জিংক ও ক্যালসিয়ামসহ নানা খনিজ উপাদান। তালের রস দিয়ে গুড়, মিছরি ও তাড়ি তৈরি করা হয়। পাকা তালের মিষ্টিগন্ধে মন ভরে ওঠে। পাকা তালের শাাঁসও খেতে খুব সুস্বাদু এবং তাতেও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। গ্রাম বাংলায় পানি দিয়ে গোলানো পাকা তাল আগুনের তাপে ঘন করে তার সাথে দুধ, নারিকেল বাটা ও চিনি বা গুড় মিশিয়ে তালদুধ নামের একটি সুস্বাদু তরল খাবার তৈরি করা হয়। এ তালদুধ এখনো গ্রাম বাংলায় ভাতের সাথে খাওয়ার প্রচলন আছে। পাকা তাল দিয়ে বিভিন্ন রকমারী পিঠা তৈরি করা হয়। তালের পিঠা পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। গ্রীষ্মের তাপদাহে শীতল পরশ বুলায় তাল পাতার হাত পাখা। তাল গাছের পাতা দিয়ে ঘরের ছাউনী, পাখা ও মাদুরসহ বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলনা তৈরি করা যায়। তালগাছের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় ঘর ও নৌকা। এক কথায় তালগাছ একটি উপকারী ও প্রয়োজনীয় গাছ। বিশেষ করে তালগাছ আমাদের বজ্রপাত থেকে রক্ষা করে বলে প্রচলিত একটি কথা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তালগাছ উঁচু হওয়ায় বজ্রপাত তালগাছের ওপর পড়ে মানুষের জানমাল রক্ষা করে থাকে। এছাড়া তালগাছের শিকড় বেশি থাকায় নদী ভাঙ্গন প্রবন এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তালগাছের গুণাগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। অনেক গুণ ও প্রয়োজন থাকা সত্তে¡ও তালগাছ রোপনের আগ্রহ যেন মানুষের দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাল গাছ রোপনের প্রতি মানুষের আগ্রহ না বাড়লে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ তালগাছ কালের গর্ভে একদিন ঠিকই হারিয়ে যাবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD