রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন
এস আল-আমিন খাঁন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকারীদের বিচার অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানিয়ে পটুয়াখালীতে সাংবাদিকদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০ ঘটিকার সকল সাংবাদিকদের যৌথ উদ্যোগে পটুয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কর্মসূচির প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা শেষে শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
উক্ত মানববন্ধনে পটুয়াখালীর পেশাগত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক (এটিএন বাংলা- যুগান্তর পটুয়াখালী প্রতিনিধি), এস আল-আমিন খাঁন (জাতীয় দৈনিক একুশে সংবাদ), মোশারফ সুজন (মুক্ত খবর,), আলিম খাঁন আকাশ ( ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন), কামরুজ্জামান হেলাল (সকলের খবর), সাইদুর রহমান (জনবানী), মশিউর রহমান (সমাচার), মেহেদী হাসান (লাখো কন্ঠ) সহ বিভিন্ন বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার জেলা – উপজেলার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ৫’ই আগস্টের পর দেশে প্রায় তিন হাজার মানুষ হত্যা হয়েছে এরমধ্যে প্রকাশ্যে আলোচিত যে সকল ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার হলেও বিচারিক কার্যক্রম দূর্বল হওয়ায় একের পর এক হত্যাকান্ড হচ্ছে এই ব্যার্থতা দায় এই সরকারের প্রশাসনের।
বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের তেমন কোন ভুমিকা না থাকায় হত্যা বাড়ছে। যদি রাষ্ট্রের পদে থেকে দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তবে স্বইচ্ছায় ছেড়ে দেয়া উচিত।
কারন তুহিন হত্যাকাণ্ডের সময় মাত্র ১০০ গজ দুরে পুলিশ থাকা সত্বেও একজন সাংবাদিককে কুপিয়ে মারলো সন্ত্রাসীরা এর কারন সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের বন্ধুত্ব, পুলিশ সন্ত্রাসী বন্ধু হবে এমন রাষ্ট্র সংষ্কার আমরা চাইনি। যে কারনে গত ৫আগস্টের মত গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।
ঘটনার সময় পাশে উপস্থিত থাকা পুলিশকে বিচারের আওতায় আনার দাবি করেন। তুহিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিদের শুধু গ্রেপ্তার নয় দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানান। যে রাষ্ট্রে গন-মাধ্যম নিরাপদ নয় সেখানে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা।
বিগত দিনে ও গুম-খুন-হত্যা-অনিয়াম-দূর্নূতি-গনতান্ত্রিক অধিকার কেরে নেয়া হয়েছে এখন তাই হচ্ছে তফাত কোথায়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিরসনের জন্য ব্যার্থ। এমনকি যে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন হয়েছে সেই বৈষম্য আরও বেড়েছে কারন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন যে প্রেসক্লাবের সদস্য সেখানকার সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও তুহিন এর জানাযায় ইউএনও সহ কোন রাজনৈতিক দলের কিংবা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি কারও কোন উপস্থিতি ছিলো না তাহলে এটা কিসের ইঙ্গিত।
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গন-মাধ্যম সব সময় নির্যাতিত অধিকার বঞ্চিত তাই রাষ্ট্র সংষ্কার মধ্যে গণমাধ্যমেও সংষ্কার গুরুত্বপূর্ণ।
মানববন্ধনে আরও বলা হয়- একই সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত সুরক্ষার জন্য বিশেষ আইন প্রণয়নের জোর দাবি। যদি এভাবে একটা রাষ্ট্র চলে তবে রাষ্ট্র সংষ্কার নয় ধ্বংসের দারপ্রান্তে যাবে।
তখন জনগন আপনাদের ধরলে পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। হুশিয়ারি করে বলা হয় যদি সাংবাদিক হত্যার বিচার না হয় তবে আপনাদের উপরেও বিপদ আসলে গন-মাধ্যম কলম বিরতি করে বসে থাকবে তাই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে জনগনের জন্য কাজ করুন শুধু সাংবাদিক নয় একজন সাধারণ মানুষের ও নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব।