শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন
এম.এইচ.ফাহাদ-বিশেষ প্রতিনিধি।বাংলার ইতিহাসের’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নায়ক, স্বাধীনতার অন্যতম সংগঠক ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের জন্মদিন আজ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্নেহধন্য, ’৬৯-এ পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলার কোড়ালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৌলভী আজহার আলী এবং মা ফাতেমা বেগম।
তোফায়েল আহমেদ ভোলা সরকারি হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে আইএসসি এবং বিএসসি পাস করেন যথাক্রমে ১৯৬২ এবং ১৯৬৪ সালে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে এমএসসি পাস করেন।
১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ডাকসুর ভিপি থাকাকালে চারটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে বঙ্গবন্ধু মুজিব প্রদত্ত ৬ দফাকে হুবহু ১১ দফায় অন্তর্ভুক্ত করে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৯-এ তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭০-এর ৭ জুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবের নির্দেশে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ছাত্র জীবনেই তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সাহচর্যে আসেন। ১৯৭০ সালে ঐতিহাসিক নির্বাচনে ভোলার দৌলত খাঁ-তজুমদ্দিন-মনপুরা আসন থেকে মাত্র ২৭ বছর বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘মুজিব বাহিনী’র অঞ্চল ভিত্তিক দায়িত্বপ্রাপ্ত চার অধিনায়কের অন্যতম।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির জনকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর তোফায়েল আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘ ৩৩ মাস তিনি কারান্তরালে ছিলেন। ১৯৭৮-এ কুষ্টিয়া কারাগারে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরে দলের আরও গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেন। ১৯৮৬, ’৯১ এবং ’৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে পরপর তিনি এমপি নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোলা-২ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। আর ২০১৪ সালে তিনি বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন।