বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন
মু, হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নে নিজের প্রাপ্ত জমি বুজে পাচ্ছে না এবং জোর করে বেদখল করে রেখে একাধিক মিথ্যা মামালা দিয়ে হয়রানি ও বসত বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে রেখেছে মোঃ আনোয়ার হাওলাদার। অভিযোগকারী হলেন মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের মোঃ মজিবুর রহমান হাওলাদার ,পিতাঃ মৃত জালাল উদ্দিন হাওলাদার। তিনি প্রতিবেদ,কে জানায়, আমার পাওনা অংশের জমির সকল কাগজপত্র গায়েব করে বছরের পর বছর দখল করে ভোগ করছে আনোয়ার হাওলাদার,আমার বেচেঁ থাকার শেষ অবলম্বন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে তার কারনে। বর্তমানে বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় আসামি হয়ে নিজের পৈত্রিক ভিটেবাড়ি ছেড়ে অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন কাটাতে হচ্ছে বলে প্রতিবেদকে জানান মজিবুর । এছাড়াও তিনি আরো বলেন,বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি এই আনোয়ার আমার জমির মধ্যবর্তী স্থান বসত ঘরের সামনে থেকে পল্লী বিদ্যুতের লাইন দেয়া হয় যা ভবিষ্যতে আমার বসত বাড়ি নির্মানের কাজে বাধার সৃষ্টি করবে । এবিষয়ে আমি পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বরাবর লাইন সরানোর জন্য ১৯/০৬/১৯ ইং আবেদন করলে বিবাদী আনোয়ার হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী নাসিমা বেগমকে দিয়ে একটি ৭-ধারা মামলা নং-৪৩২/১৯ ইং এবং পাচঁদিন পর কালাম হাওলাদারকে বাদী করে দুটি আলাদা সি.আর.মামলা-নং-৫৪৩/১৯ ইং ও একটি ৭-দ্বারা মামলা দায়ের করেন যা সম্পুর্ন মিথ্যা ভিত্তিহীন ও হয়রানি মুলক।এভাবে আরো মামলার হুমকি প্রদান করে আসছে। আমি মিথ্যে মামলায় ১১ দিন কারাভোগ করি।এছাড়াও আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে বিবাদীরা, এমনকি রাতের আধারে গোয়াল ঘর শুন্যকরে গৃহপালিত দুটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় বিবাদীরা।যার বাজার মুল্য আনুমানিক ১,০০,০০০ লক্ষ টাকা।
আরো জানাগেছে,বিগত দিনে দুপক্ষের মধ্যে জমি জমা সংক্রান্ত ঝামেলা মিমাংশায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ শালীস গন গত ২৯/০৮/১৯ ইং তারিখ একটি রোয়েদাদ নামা তৈরী করেন।যাহাতে উল্লেক্ষ করা হয় যার যার প্রাপ্ত জমি সকল শালীস গন ও সার্ভেয়ার দ্বারা সরেজমিনে পরিমাপ করে বুঝাইয়া দেয়া হইবে ৩০ শে ফাল্গুন।উক্ত শালীসীর দিন তারিখ সময় স্থান নির্ধারন করেন মোঃ ফোরকান মৃধা এবং প্রস্তুত কারকঃ মোঃ জসিম উদ্দিন আউলিয়াপুর। কিন্তুু সেই শালীসগনের একাধিকবার চেস্টাকেও ব্যার্থ করে আনোয়ার। এব্যাপারে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লোক জনেরা বলেন, ঘটনা সত্য মজিবরকে ঠকিয়ে সকল জায়গা জমি ভোগ করছে আনোয়ার দীর্ঘ বছর ধরে এসমস্যায় বহুদিন যাবত তাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। মজিবরের একটা দোকান ছিলো খাসের হাট বাজারে তাও এই ঝামেলায় নস্ট হয়ে গেছে। ভয়ে সে এখন বাড়ি ছেড়ে শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করে।
মজিবুর রহমানের দেয়া তথ্যে সরেজমিন অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে অজানা সব তথ্য,মোঃ আনোয়ার হোসেন এক সময় ছিলেন পটুয়াখালী কৃষি ব্যাংক পুরাতন বাজার শাখার একজন ব্রোকার হিসেবে পরিচিত। একসময় ঋনের বোজা মাথায় নিয়ে রাতের আধারে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। হঠাৎ করে সেই ঋণগ্রস্ত আনোয়ার আগুল ফুলে কলাগাছ এমন প্রশ্ন এলাকাবাসী অনেকের। বর্তমানে ৩৯ টি জমির দলিল,গ্রামের বাড়িতে কোটি টাকার বিলাশ বহুল ভবন,ঢাকায় বিশাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাজধানীতে একাধিক জমির মালিক। এবিষয়ে আনোয়ার হাওলাদার এর কাছে জানতে চাইলে অনেক প্রশ্নের উওর এড়িয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে জবাব দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের । বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন পরবর্তী সংখ্যায়।।