বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
গলাচিপার ২’য় বৃহত্তম নগরী উলানিয়া বাজার রক্ষার্থে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান কলাপাড়ায় হঠাৎ বিকট শব্দে সেতু ভেঙ্গে খালে।। ভোগান্তিতে ১৫ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ কলাপাড়ায় দিন দুপুরে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি বরিশালে গনতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য এর সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন বাউফলে সাংবাদিককে ইউএনও’র জেল দেয়ার হুমকি সাম্যের খুনীদের ফাঁসির দাবীতে বিএম কলেজ ছাত্রদলের মশাল মিছিল কলাপাড়া স্কাউটস মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত বাউফলের ঢাকাগামী লঞ্চে যাত্রী সেজে মদ পাচারকালে এক যুবক গ্রেফতার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের দায়ে ১৬ জেলে আটক বরিশাল জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক আল ইমরান বিএনপির দলীয় পরিচয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকে হুমকি থানায় জিডি লাউকাঠীতে নদীর পানিতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু সবুজ আকনের নেতৃত্বে সাম্যের খুনীদের বিচার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল বাউফলে এক প্রতারক পুলিশের হাতে আটক তারুণ্যের সমাবেশ উপলক্ষে বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা
মুড়ি নয়তো একবেলা খেয়ে দিন কাটছে এতিমদের

মুড়ি নয়তো একবেলা খেয়ে দিন কাটছে এতিমদের

Sharing is caring!

ক্রইমসিন২৪ :আর্থিক সংকটে একবেলা খাবার খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে বরিশাল নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর গুচ্ছগ্রামের রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিশুদের। গত একসপ্তাহ ধরে এ সমস্যা চলছে বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসার পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী। তিনি জানান, কখনো কখনো খাবারের মধ্যে শুধু মুড়ি খেয়েও দিন পাড় করতে হচ্ছে এতিমখানার শিশুদের। জানাগেছে, ২০১৪ সালে তার উদ্যোগে পলাশপুর গুচ্ছ গ্রামে এতিমখানা ও মাদ্রাসাটি চালু করা হয়। সেসময় থেকেই একটি ভাড়া বাসার কয়েকটি কক্ষে পরিচালিত হতো। পরে বছরখানেক আগে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন। যে অনুদান দিয়ে জমি ক্রয় ও চার তলা ভিত্তির ওপর ১ তলা ভবন নির্মান করা হয়েছে।  যদিও অর্থ সংকটে সে কাজের কিছু অংশ এখনো বাকি রয়েছে। মাদ্রাসা সূত্রে জানাগেছে, শুরুর দিকে ছাত্র সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে এখানে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। যারমধ্যে আবাসিকে অর্ধশত শিক্ষার্থী এবং ২০ জন এতিম শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে। নুরুল ইসলাম ফিরোজী জানান, টাকার অভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে আগেই। তাছাড়া মাদ্রাসায় পানি ও বিদ্যুতের সংকটও রয়েছে আগে থেকেই। আর এখন টাকার অভাবে আবাসিক ও এতিম ছাত্রদের খাবার সরবরাহ যথানিয়মে করা সম্ভব হচ্ছে না।  ছোট ছোট শিশুদের ভাতের বদলে মুড়িও খাওয়াতে হয়েছে।  সরকারি সহায়তা কিংবা সামাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা প্রয়োজন জানিয়ে মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ছোট ছোট এসব শিশুদের পেটে ক্ষুধা থাকলে পড়াশুনায় মন বসে না। গত কয়েকদিন ধরে কেউ সাহায্য করলে খানা হচ্ছে, না হলে না। সামাজের বিত্তবানদের বিষয়টি দেখা উচিত। নয়তো এতিম শিশুদের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD