বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেক্স ঃ
কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী জেলার বানের পানির চাপে চাঁদপুরের শাহরাস্তি এবং কচুয়া উপজেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা এক সপ্তাহের বেশি সময় পানিবন্দি হয়ে আছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কচুয়া উপজেলার আশরাফুর ইউনিয়নের ভবানিপুর, সানন্দকড়া, রসুলপুর পিপলকরা ও শাহারাস্তি উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের উনকিলা, রায়শ্রী, সন্ডিপাড়া দাদিয়া পাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার ঘুরে দেখা যায় বহু ঘরবাড়ি তলিয়ে আছে।
একই সঙ্গে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি। বিশেষ করে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি নিয়ে লোকজন খুবই বিপাকে রয়েছেন।
এসব এলাকায় দুর্গত লোকদের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিছু সহায়তা দিলেও রান্নাবান্না করে খাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। শুরুতে পানিবন্দি লোকজন কিছু শুকনো খাবার পেলেও এখন চলছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।
পিপল করা গ্রামের দুলাল মিয়া বলেন, গত ১০ দিন ধরে তাদের গ্রামের বহু বাড়িঘর পানির নিচে। গোয়ালঘর, টয়লেট এবং রান্নাঘরগুলোতে পানি উঠে যাওয়ায় চরম সংকটের মধ্যে রয়েছেন। কেউ কেউ উঁচু জায়গায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠলেও অনেকেই এখন পর্যন্ত পানির সঙ্গেই বসবাস করছেন।
রাজশ্রী গ্রামের আনামিয়া বলেন, আমার বসতঘরটি গত এক সপ্তাহ ধরে পানির নিচে। এ পরিস্থিতিতে আমি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিলেও গবাদি পশু নিয়ে রয়েছি খুব বিপাকে। এখন পর্যন্ত তাদের এলাকায় কোনো ধরনের সহায়তা আসেনি।
একই ইউনিয়নের দাদিয়া পাড়ার বাসিন্দা শাহনাজ ও ফারহানা বলেন, বানের পানির কারণে আমাদের রাস্তা তলিয়ে গেছে। যে কারণে আমরা এখন মূল ইউনিয়নের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। প্রতিটি ঘরে হাঁটু সমান পানি, খাবার রান্না করার পরিস্থিতিও নেই। আমরা খুবই অসহায় অবস্থায় আছি।
স্থানীয় মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা আশিকুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকার কিছু লোক সহযোগিতা নিয়ে এসেছেন। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতার চেষ্টা করছি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিভাবে এসব লোকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা উচিত।
শাহারাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইয়াসির আরাফাত জানান, বানের পানিতে এখন পর্যন্ত পানিবন্দি আছেন ৫৫ হাজারের অধিক মানুষ। সাড়ে তিন হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ জানান, পানিবন্দি এলাকায় ইতোমধ্যে কিছু লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।