শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শামীম আহমেদ ঃ
যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বরিশালে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল আযহার
নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশালে ঈদের প্রধান জামাত নগরের বান্দ রোডস্থ হেমায়েত
উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহে প্যান্ডেলে ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করেন।
এখানে পাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, বিসিসি মেয়র, প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তি
সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড জন প্রতিনিধি ও পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের
অংশগ্রহণে আজ সোমবার (১৭) জুন) সকাল ৮টার সময় এ ঈদজামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আবহাওয়ার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে সুন্দর থাকায় ঈদ-উল আযহার জামাত আদায় করতে
পেরে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেছেন মুসুল্লিরা।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। সেই
সঙ্গে দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিশেষ করে সারাবিশে^র
মুসলিম জাহান সহ ফিলিস্তিতিদের রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানানো হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী বলেন, এবারের ঈদ খুবই সুন্দরভাবে
মানুষ পালন করছে। মানুষ সস্তিতে নাড়ির টানে বাড়িতে ফিরেছে। ঈদের এ ছুটিতে
সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহ সকলকে শান্তিতে বসবাস করার
আহবান।।
বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শুভেচ্ছা
বিনিময় বক্তব্যে বলেন, দেশ বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী
হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্ববান জানাই।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন আমরা সকলকিছু ভুলে গিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই
আসুন আমরা সকলেই এক হয়ে সততার সাথে বরিশালকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করার
কাজ করার মাধ্যমে স্মাট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।
এখনে সিটি মেয়র আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত মেয়র ঈদের নামাজ আদায় করতে
এসে আগত মুসল্লীদের উর্দেশ্যে বলেন এই সিটি কর্পোরেশনের জনগণের প্রতি
আমার ভালবাসা অব্যাহত আছে।
এই সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমার আন্তরিকতা আছে। এই
জন্য তিনি নগরবাশি সকলের কাছে সহযোগীতা কামনা করেন। আমরা ইতিমধ্যে
বরিশালের উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছি এরপাশাপাশি নগরবাশীর দায়ীত্ব আছে শহরকে
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য সকলের কাছে সহযোগীতা ও ভালবাসা চাই।
এখানে আরও নামাজ আদায় করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী, জেলা প্রশাসক
(ডিসি)মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রশাসনিক
কর্মকর্তা,বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১নং প্যানেল মেয়র জিয়াউর রহমান বিপ্লব সহ
বিসিসি বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ ও বিভিন্ন সরকারদলীয় বিভিন্ন
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারন মুসল্লীগণ।
এবারই প্রথম বিসিসি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ঈগাহ্সহ;
ময়দানের বাহিরে মুসল্লীদের জন্য মেডিকেল টিম,এ্যামবুলেন্স,ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী
প্রস্তুত রাখা হয়। এছাড়া পুরো ঈদগাহ্সহ; প্যান্ডেল সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল।
এছাড়া আমানতগঞ্জ ঈদগাহ ময়দান,বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই দরবার শরীফে সকাল
৮টায়, উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও নেছারাবাদ দরবার শরিফে সকাল
৮টায় ঈদের বৃহত্তম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে পরস্পরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
করেন মুসুল্লিরা।
অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুলিশ লাইন জামে মসজিদে নামাজ
আদায় করেন। এছাড়াও নগরীর জামে কসাই মসজিদে দুইটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় ।
জামে এবায়েদুল্লাহ ও সদররোডস্থ জামে বায়তুল মোকাররম মসজিদে দুইটি ঈদের জামাত
অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান ঈদজামাত ঘিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া
নগরের মুসলিম গোরস্তান আঞ্জুমান জামে মসজিদ, পলাশপুর কাজির গোরস্তান জামে
মসজিদ এবং জেলার প্রায় শতাধিক মসজিদে ঈদ-জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
শামীম আহমেদ
বরিশাল