শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ : বরিশালের মুলাদী উপজেলায় রাঘুয়া কাজিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্কে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরইমধ্যে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের নিজ উদ্যোগেই পাঠাচ্ছেন না, পাশাপাশি শিশু শিক্ষার্থীদেরে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আজ সোমবার (১ জুলাই) ও আগামীকাল (২ জুলাই) বিদ্যালয়টি বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান রাকিব জানান, ২০০৯ সালে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভবনটি একটি পুকুরের মধ্যে নির্মান করা হয়। গত ২/৩ বছর ধরে বিদ্যালয়ের নীচ তলার দুটি কক্ষে সাপের আনোগোনা লক্ষ করা গেছে। পরে আমরা স্থানীয়ভাবে সাপ নিধনের নানা উদ্যোগ গ্রহন করি। এসিডও দেই কক্ষগুলোতে। তবে শিশুদের কথা চিন্তা করে অনেক কিছুই চিন্তা ভাবনা করে করতে হয়। সম্প্রতি ভবনের নীচ তলার ফ্লোর কিছুটা দেবে গেছে । গত সপ্তাহের শনিবার থেকে বিদ্যালয়ের নীচ তলার পঞ্চম শ্রেনীর কক্ষ ও শিক্ষকদের একটি কক্ষ থেকে সাপ ও সাপের ছানা বেড়িয়ে আসতে শুরু করে। গত শনিবার থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ টির মতো সাপ পিটিয়ে মারা হলেও এর উপদ্রব কমছে না। ধারবাহিকতায় বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জাননো হলে, তার শিশুদের জীবনের নিরাপত্তায় আজ ও কাল বিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষনা দেন। পাশাপাশি পটুয়াখালীর সাপের খামার থেকে সাপুরিয়া এনে আজ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সাপ খোজা হচ্ছে। এ পর্যন্ত সাপের ছানা ও ডিম পাওয়া গেলেও বড় সাপ খুজছেন তারা। তবে এ সাপ বিষধর বিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি বলেন, বিদ্যালয় রমজান ও ঈদের ছুটিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এ উপদ্রবটা বেশি লক্ষ করা গেছে, নীচতলায় যেখানে সেখানে সাপ দেখতে পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকরাও আতঙ্কে আছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সাপ আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না আসায় স্কুল সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসেন জানান, দ্রুত বিদ্যালয়ের মেঝে ভেঙে বালু দিয়ে ভরাট করে পুনর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। মেঝে ঠিক করে শিশুশিক্ষার্থীদের মাঝ থেকে সাপ-আতংক দূর করার পরই ক্লাস শুরু হবে।