শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
দোল উৎসব উপলক্ষে তরুণ-তরুণীরা আবির ও গুলাল নিয়ে রং খেলায় মেতে ওঠেন।
সোমবার সকাল থেকেই বরিশালের মন্দিরে মন্দিরে পূজার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও নিজেদের বসতবাড়িতেও ভগবানের পূজা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। পরে রং খেলায় মেতে ওঠেন তারা। দোল উৎসব উপলক্ষে বরিশালে সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল নগরীর কলেজ রো এলাকার শ্রী শ্রী শংকর মঠ মন্দির প্রাঙ্গনে।
প্রায় ১৫শ নারী-পুরুষ রেজিস্ট্রেশন করে অংশ নেয় দল উৎসবে। নগরীর শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির আয়োজনে দোল উৎসবের রং খেলা শুরু হয় বেলা ১১ টায়। দোল উৎসবে অংশ নিতে পেরে খুশি তরুণ তরুণীরা ।
ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই অংশ নেয় এই দোল উৎসবে। এতে শত শত তরুণ-তরুণী রং খেলায় মেতে ওঠেন। মনমুগ্ধকর ডিজে গানের সাথে সাথে নাচে গানে একাকার হন দর্শনার্থীরা।
শংকর মঠ মন্দিরের মাঠের দুই ভাগে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদাভাবে দোল উৎসব উপভোগ করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে দোল উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল মোতায়ন করা হয় আইনশৃংখলা বাহিনী।
আয়োজকদের দাবি দেশর সবচাইতে বড় দোল উৎসব এবার বরিশালে হয়েছে। আয়োজকরা জানান, বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন।
সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এরপর ভক্তরা আবির ও গুলাল নিয়ে রং খেলায় মেতে ওঠেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও ডাকা হয়।