রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
আলম ভাইয়ের ছালাম নিন-জয় বাংলা, নৌকা মার্কায় ভোট দিন-জয় বাংলা।” মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন বরিশাল-২ আসনের এমপি পদ প্রার্থী মোঃ শাহে আলম’র পক্ষে এমন স্লোগানে জনমুখে মুখরিত ছিল রাজধানীর রাজপথ। সোমবার (২০ নভেম্বর) শাহে আলম’র ঢাকার শুভাকাঙ্খীরা ও বানারীপাড়া-উজিরপুর’র আ.লীগ সমর্থিত নেতা-কর্মীসহ হাজার হাজার জনতা ওই স্লোগান দেয়। যে ভিডিওটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। স্লোগানে নেতা কর্মীরা আরো বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটাই দাবি ‘আলম ভাই যেন পুনরায় হয় বরিশাল-২ আসনের নৌকার মাঝি।’ জানা গেছে, নব্বই দশকে এরাশাদ বিরোধী গণঅভূত্থানের অগ্রসৈনিক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক জনপ্রিয় সভাপতি ও দলীয় কর্মীবান্ধব নেতা শাহে আলম ছিলেন ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দূঃসময়ের এক নেতা।’ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন, মোঃ শাহে আলম তখন সারা বাংলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই সময় আন্দোলনে ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়েছিল এই শাহে আলম। দীর্ঘ ৩৩ বছর পর বরিশাল-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার দিন আবারো ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়ে শাহে আলম বুঝিয়ে দিলেন নেতা কর্মীদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণ যোগ্যতা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বরিশাল-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন শাহে আলম। এছাড়া বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ-সম্পাদক। স্কুল জীবনে ছাত্রলীগের মাধ্যমে তাঁর রাজনীতিতে পদার্পণ ঘটে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়াকালীনও তিনি বরিশাল অঞ্চলে দলের হাল ধরতে এবং প্রতিবাদে জানাতে সোচ্চার ছিলেন। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের ছাত্র ছিলেন পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং এরমধ্য দিয়ে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ ঘটে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, পাঠাগার সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও সর্বশেষ সভাপতির আসনে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সাল থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগকে সুগঠিত রাখায় শেখ হাসিনা ১৯৯০ সালে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের তৎকালীণ সভাপতি ও সম্পাদকের পরিবর্তে সহ সভাপতি শাহে আলমকে ভিপি প্রার্থী করেন। সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে তাকে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তবে ১৯৯১, ৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ এর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও পাননি। অবশেষে ২০১৮-এর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন এবং সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্যে শাহে আলম বলেন, আমি সর্বোপরি, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং উন্নয়নের স্বপ্নসারথী বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় উন্নত বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাব।