সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
এস আল-আমিন খাঁন পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ সারাদেশে আলোচিত হাইকোর্টের জামিনে থাকা সত্বেও শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করায় পটুয়াখালী সদর থানার ওসিকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
উক্ত আসামি শিক্ষার্থী আশরাফুল হাওলাদার হাইকোর্টের ছয় সপ্তাহ জামিন শেষে গত ৩’রা জুলাই পটুয়াখালী চীপ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মোঃ জামাল হোসেন।
মামলার আসামি শিক্ষার্থী আশরাফুল হাওলাদার সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের বাজারগোনা গ্রামের বাসিন্দা লতিফ হাওলাদার এর ছেলে। চাঞ্চল্যকর এই মামলার আসামী আশরাফুল হাওলাদার এর বিরুদ্ধে পটুয়াখালী আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে, উল্লেখিত, দ্রুত বিচার মামলা ৬৭/২৩, এম. পি. মামলা নং- ৩৬৯/ ২৩ ইং এর মধ্যে অন্যতম। জানাগেছে, ৬০৬/২৩ ইং সি-আর মামলার আসামী আশরাফুল হাওলাদার, লতিফ হাওলাদার ,জাহানারা বেগম,মিম ও আল-আমিন এর বিরুদ্ধে একই এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় গত ২৬ জুন ২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত ছয় সপ্তাহের জামিনে থাকার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ও আমীনুল ইসলামের আদালত। জামিনে থাকা শিক্ষার্থী ও তার বাবাকে গত ১৮ মে সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। উক্ত অভিযোগে সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামানকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।
গত ২১ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তাফ জামান ও আমীনুল ইসলামের দ্বৈতবেঞ্চ এ আদেশ দেন। এবং ১৮ জুন ওসি হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে লিখিত ভাবে ক্ষমা চান। পরে গত সোমবার (৩রা জুলাই) সকালে পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন শুনানী করলে বিচারক মোঃ জামাল হোসেন জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন শিক্ষার্থী আশরাফুল কে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আসামিরা আমার বসত বাড়ির জমিতে জোর পূর্বক ঘড় তোলেন।এছাড়া অত্র এলাকায় সন্ত্রাস ভুমিদখল করাই হচ্ছে এদের কাজ। তিনি আর ও বলেন, আসামিরা প্রতিনিয়ত আমার পত্রিক সম্পত্তি খতিয়ান নং ১৯৭,২৯৪ যার এস,এ দাগ ১১৮০,১১৮১, ৮৬,৯০ সম্পত্তিতে জোড় পূর্বক দখল দিতে আসে। আমি অত্যান্ত গরীব অসহায় মানুষ আমি আইনকে শ্রদ্ধা করি প্রশাসনের প্রতি আমার আস্থা আছে। এজন্য সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচারের দাবিতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি আদালতের মাধ্যমে আসামিদের বিচারের দাবি জানাই।
উক্ত মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো, সাইফুর রহমান টোটন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার বরাত দিয়ে জানান, উক্ত মামলায় আসামিদের ছয় সপ্তাহের অন্তরবর্তী কালীন জামিন সময় ধার্য্য করে ছিলেন বিজ্ঞ হাইকোর্ট গত ২৭ জুন পর্যন্ত।
ঈদুল আজহার কারনে হিয়ারিং এর তারিখ অদ্য ৩”রা জুলাই থাকাতে আসামী আশরাফুলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ৩২৯/৩০৭ ধারা থাকায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ জামাল হোসেন আসামী আশরাফুলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন এবং অন্য আসামীরা খালাশ পান বলে জানান তিনি।