শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
এস আল-আমিন খাঁন
কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামে বাজপাখির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কালাম পাহলান (৪০) নামের এক জেলে।তীক্ষ্ণ দৃষ্টি খ্যাত হিংস্র শিকারী বাজপাখির সঙ্গে বন্ধুত্ব দেখে যতটা অবাক তার চেয়ে বেশি খুশি স্থানীয়রা।
জানাগেছে, প্রায় দুই বছর আগে তিনি পার্শ্ববর্তী খালে মাছ শিকারে গিয়ে খালের পাড়ে অসুস্থ অবস্থায় বাজপাখিতে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে বাড়ি এনে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করেন। মজার বিষয় এসময় অন্য একটি বাজপাখি গাছের ডালে বসা ছিলো অসুস্থ বাজপাখির সঙ্গে ঐ বাজপাখিটিও কালামের বাড়িতে চলে আসে। অসুস্থ বাজপাখিটির শরীরে অনেক জ্বর এবং পাখায় আঘাতপ্রাপ্ত ছিলো। দুটি খাঁচায় আটকে রেখে প্রায় ১৫ দিনের চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর পাখিটা সুস্থ হয়ে উঠলে পাখি দুটিকে খাঁচা থেকে মুক্ত করে দেন কিন্তুু সুস্থ হওয়া বাজপাখিটি তাকে ছেড়ে যায়নি। থাকছে তার বাড়ির খালপাড়ের একটি রেন্ট্রি গাছে। দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের বাজপাখিটির নাম দিয়েছেন ডায়মন। বর্তমানে ডায়মন বলে ডাকলেই পাখিটি তার কাছে চলে আসে হাত এবং শরীরের উপরে বসেই খুনসুটি করে খাবার খেয়ে ফের গাছের মগডালে গিয়ে বসে। বাজপাখি এবং কালামের বন্ধুত্ব এক বিরল দৃষ্টান্ত বলে দাবি এলাকাবাসীর।
বিপিনপুর গ্রামের ইসমাইল মুন্সী (৬২) জানান, আমরা সচারাচর দেখেছি ময়না, টিয়া, শালিক পাখি মানুষ পোষ মানিয়েছে।কিন্তু বাজপাখির সঙ্গে মানুষের ভালোবাসা এই প্রথম দেখলাম এটা অবিশ্বাস্য হলেও বর্তমানে বাস্তব ঘটনার দৃষ্টান্ত রেখেছে কালাম।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শুধু বাজপাখিই নয় ভালোবাসা দিয়ে জয় করা যায় আরও বড় হিংস্র প্রাণীর মন। কালাম পাহলান খুবই ভালো কাজ করেছেন। প্রানীটি হিংস্র দেখেও তিনি না মেরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন প্রতিটি মানুষের প্রতি কালামের মতো বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করার অনুরোধ জানাচ্ছি। তবে যে কোন প্রাণী জোর পূর্বক খাচায় বন্দী রেখে পোষ না মানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি এটা প্রাণী সংরক্ষণ আইনে অপরাধ।