মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: বরিশালে লঞ্চে যাত্রীর টাকাসহ মানিব্যাগ চুরির অভিযোগে দম্পতি পরিচয় দেওয়া এক যুবক ও তরুণীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে বরিশাল আসার পর তাদের সদর নৌ-থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় বলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান জানিয়েছেন।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে ওই যুবক ও তরুণীকে লঞ্চেই আটক করেন স্টাফরা। এ সময় আটক যুবক নিজেকে পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয়ও দিয়েছেন।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ইংরেজিতে পুলিশ লেখা একটি ব্যাগ ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ভিজিটিং কার্ডও পাওয়া গেছে তাদের কাছে।
চুরি করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও তরুণীর স্বামী পরিচয় দেওয়া যুবক পুলিশে চাকরি করে কিনা সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসানাত জামান।
আটকরা হলেন-পটুয়াখালীর সদর উপজেলার গিলাবুনিয়া এলাকার সোহরাব সিকদারের ছেলে রিপন সিকদার (৩৮) ও পার্শ্ববর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলার নরিয়াবাদ এলাকার শাহীন মৃধার মেয়ে তানিয়া (১৯)।
লঞ্চের যাত্রী শহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ঢাকা সদরঘাট থেকে এমভি পারাবত-১১ লঞ্চে চেপে তিনি বরিশালে আসছিলেন। ডেকে তার পাশের যাত্রী হিসেবে ছিলেন রিপন ও তানিয়া। তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেন।
শহিদুল বলেন, লঞ্চের ভাড়া দে্ওয়ার সময় মানিব্যাগ খুঁজে না পেয়ে লঞ্চের স্টাফদের জানাই। তারা সিসি ক্যামেরায় ফুটেজে দেখতে পায় রিপন নামের ওই যুবক আমার পকেটে থাকা মানিব্যাগ চুরি করে নেয়। তারপর তাকে লঞ্চের স্টাফ ও যাত্রীরা মিলে আটক করেন। এ সময় তিনি পুলিশ পরিচয় দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তার স্ত্রী পরিচয়দানকারী নারী স্টাফ ও যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। পরে লঞ্চের স্টাফরা তাদের নৌ পুলিশের হাতে তুলে দেন।
সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানাত জামান জানান, মৌখিক অভিযোগ সূত্রে যে টুকু জেনেছি ,পাশের যাত্রী শহিদুল ইসলামকে নিজেদের স্বামী ও স্ত্রী পরিচয় দিয়েছেন ওই যুবক ও তরুণী। পরে রাতের যেকোনো সময় শহীদুলের মানিব্যাগ চুরি করেন।
শহীদুল বিষয়টি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জানায়। তারা লঞ্চের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে রিপনের কাছ থেকে চোরাই মানিব্যাগ উদ্ধার করেন। এ সময় নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেন ওই যুবক। লঞ্চ বরিশাল নৌ-বন্দরে ভেড়ানোর পর তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও আটকদের পুলিশ পরিচয় দেওয়ার বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিলেও নিজেদের স্বামী-স্ত্রী দাবি করেছেন। তাদের দেওয়া তথ্যও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এদিকে আটক তরুণী চুরি ও পুলিশ পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে দাবি করেছেন।