রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: ভারতীয় কম্পানির ক্যাপসুল নিম্নমানের সন্দেহে স্থগিত করা হয়েছে এবারের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি। ১৮ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জে ক্যাপসুলের নমুনা পর্যবেক্ষণ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এ কথা জানান।
তদন্ত কমিটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ক্যাপসুলের মান খারাপ হলে তা শিশুদের খাওয়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এদিকে, বড় কোনো দুর্ঘটনার আগে বিষয়টি নজরে আসাকে ইতিবাচক বললেও পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কর্মসূচির ঠিক দুইদিন আগে বন্ধ করা হয় এবারের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এরপরই নড়ে চড়ে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
১৮ জানুয়ারি, শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে ক্যাপসুলের নমুনা পর্যবেক্ষণ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। ক্যাপসুলের গায়ে ক্যাপসুল লেগে থাকারও প্রমাণ পান তিনি। ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিমন্ত্রী জানান, মামলা করে ভারতীয় অখ্যাত কম্পানির এই ভিটামিন কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, ‘মামলা করে ভারত ওষুধ দিতে বাধ্য করেছে। লালটা ইন্ডিয়ান কম্পানি দিয়েছে এটাতেই সমস্যা। নীলটা আমাদের দেশের কম্পানি যেটাতে কোনো সমস্যা নেই।’
রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী দেশের দুই কোটিরও বেশি শিশুর ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল গত ডিসেম্বরে। তবে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা ও জাতীয় নির্বাচনসহ নানা কারণে তা পিছিয়ে তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৯ জানুয়ারি। ক্যাম্পেইন শুরুর আগেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যাপসুলের মান নিয়ে অভিযোগ আসে মন্ত্রণালয়ে।
এদিকে, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল মেয়াদোত্তীর্ণ নয় জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনা উদঘাটনে গঠন করা হয়েছে একাধিক তদন্ত কমিটি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘একটা ক্যাপসুলের সাথে আরেকটা ক্যাপসুল গায়ে গায়ে জোড়া লেগে গেছে, এর মানে এই নয় ভেতরে ওষুধের মান নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টা আমরা নিশ্চিত হবো পরীক্ষার মাধ্যমে, মান সম্মত না হলে আমরা বাতিল করে দেব।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পর্শকাতর এ বিষয়টির গাফিলতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে সবার আগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম শামছুজ্জামান তুষার বলেন, ‘আমাদের শিশু মহল যারা জাতির ভবিষ্যৎ তাদেরকে নিয়ে ঝুঁকি না নেওয়ার সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। যেহেতু অনেক কোম্পানির সাথে তুলনা করে ক্যাপসুল কেনার ব্যবস্থা আছে, যেটা রাষ্ট্র সম্মত। সেই অনুযায়ী আইনগত যে বিধি বিধান আছে, সে অনুযায়ী কার্যক্রম চালানো হয় তাহলে সার্থকতা পাবে।’
বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দ্রুতই ক্যাম্পেইন শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।