শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশালে রাতের আঁধারে ড্রেনের লোহার ঢাকনা চুরি সাভারে এসি বিস্ফোরণে আহত ৭ বরিশালে দুর্গাসাগরে পুণ্যস্নানে নেমে কলেজছাত্রের মৃত্যু শ্বশুরবাড়ি কলাপাড়ায় আসার পথে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় জামাতা নিহত বরিশালে চৌমাথা লেকে পোনা মাছ অবমুক্ত করলেন ইজারাদার বাপ্পি কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, ভ্যাপসা গরমে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ বরিশালের বাবুগঞ্জের দূর্গা সাগরে অষ্টমী পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত বরিশাল বিএনপি দলীয় কার্যলয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিকদল নেতৃবৃন্দের জন্য দোয়া-মোনাজাত ও স্মরন সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশালে জমে উঠেছে তিনদিন ব্যাপি উদীচীর বৈশাখী মেলা পটুয়াখালীতে ডিবি পুলিশের অভিযানে ৫১ পিচ ইয়াবাসহ ০২ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার ঈদ ও নতুন বছরকে বরনে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারীরা  ২ দিনও থাকা হলো না নতুন ঘরে গলাচিপায় শর্ট সার্কিটে বসতঘরে আগুন বরিশালে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, রাখিবন্ধন মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে কলাপাড়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা
দৌলতখানে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভুমিহীনদের ঘর বরাদ্দের প্রকল্পে হরিলুট। অনিয়ম অর্থ আত্মসাৎ

দৌলতখানে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভুমিহীনদের ঘর বরাদ্দের প্রকল্পে হরিলুট। অনিয়ম অর্থ আত্মসাৎ

Sharing is caring!

এম এইচ ফাহাদ, বিশেষ প্রতিনিধি: মুজিব শতবর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও ভূমিহীন অসহায় গৃহহীনদের বসতঘর প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত ভোলার দৌলতখান উপজেলায় ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দৌলতখান উপজেলার প্রধানমন্ত্রীর মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে মোট ৪২টি ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়।যারমধ্যে একটি ইউনিয়নে চরপাতা ইউনিয়নে ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয় ৪০টি ঘর। এবং একটি উত্তর জয়নগর অপর ১টি দৌলতখান পৌরসভায় প্রথম ধাপে বরাদ্ধ দেয়া হয়। তবে ৪২টি বসতঘর বিভিন্ন নামে বেনামে বরাদ্ধ করিয়ে দেয়া সহ সরজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে উঠে আসে নানা অনিয়ম। ঘর নির্মানে উপজেলা নির্বাহী সহ প্রকল্পের কাজের দায়িত্বে কর্মচারী কর্মকর্তাদের নাম উঠে আসে দূর্নীতির শীর্ষে।এসকল ঘর গুলো যদিও দরিদ্র ও ভূমিহীন এবং অসহায় গৃহহীনদের মাঝে বিতরণ করার কথা থাকলেও অধিকাংশ ঘর পেয়েছে নিজস্ব জমির মালিকানাধীন ব্যক্তিগন।

আবার কেউবা ব্যক্তিগত ব্যক্তিগত সম্পর্কের পেয়েছেন নিজস্ব পরিবারের ব্যক্তিগন। এছাড়াও কিছু ঘর রয়েছে উপজেলার সরকারি কর্মচারীসহ উচ্চপদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে। এসকল সরকারী ঘরগুলো সরকারি বিভিন্ন খাস জমিতে নির্মানের কথা থাকলেও অধিকাংশ ঘর উত্তোলন করা হয়েছে অত্র ইউনিয়নের ব্যক্তি ও মালিকানাধীন জমিতে। চপাতা চরখলিফা ৮নং ওয়ার্ডে ঘরের সংখ্যা মোট ৯টি ঘর রয়েছে যাহা সরকারি খাস জমিতে। তবে অধিকাংশে ঘরের বসবাসরত বা ঘর মালিকদের অভিযোগ রয়েছে প্রকল্পের পরিচালক দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে ঘর উত্তোলন সম্পন্ন শুরু থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন রাজ মিস্ত্রিদের খাবারে বাধ্য করা হয়।এবং প্রতিটি ঘর নির্মানে সময়ে খাবার খরচসহ অন্যান্য খরচ প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয় ঘর বলেও অভিযোগ তাদের।

আবার কয়েকটি ঘরের কাজে আংশিক কাজ অসমাপ্ত প্লাস্টার রং অবশিষ্ট রয়ছে যাহা সরজমিন তদন্তে বেরিয়ে আসে এমন তথ্যচিত্র। চর খলিফার ৭ নং ওয়ার্ডে তার ভিন্ন চিত্র দেখা যায় একই পরিবারের মোট তিনটি ঘর উত্তোলন করা হয় নিজস্ব ব্যক্তি মালিকানা জমিতে। ঘর মালিকের নাম জাহাঙ্গীর ও আজিজুল নামে দুটি ঘর তাদের নিজস্ব কিনা সম্পত্তির উপর নির্মান করা হয়। তাদের সরকারি সরকারি এসকল ঘর পেতে ২২ হাজার টাকা করে দেয়ার অভিযোগ প্রকল্পের পরিচালক ঠিকাদার আকতার হোসেন নবাব/জসিম এর বিরুদ্ধে। অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে একই পরিবার দুইটি করে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে দৌলতখান উপজেলার সাবেক ইউএনও কাওসার হোসেনের বিরুদ্ধে।

তার এসকল অনিয়মের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন তারি নিয়োগকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন ইন্জিনিয়ার জসিম তৈয়বুর এবং আকতার হোসেন নওয়াবের বিরুদ্ধে। চরপাতা ৮ নং ওয়ার্ডের সেলিম ও তার পুত্র সোহাগ এর নামে রয়েছে দুইটি ঘর। মকবুল আহমেদের পুত্র জাহাঙ্গীর ও আজিজলের নামে দুইটি ঘর, রুহুল আমিনের স্ত্রী মাহমুদার নিজ নামে একটি ও তার জামাতা মাকসুদের নামে আরো একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।অপরদিকে চরখলিফা ৭নং ওয়ার্ডে দেখা তার ভিন্ন চিত্র মোট ৯টি ঘর থাকলেও নির্মানধীন রয়েছে তবে যারমধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে মোট ৪টি ঘর। যেখানে যাদের নামে বরাদ্ধ করা হয়েছে তারা কেউ উক্ত ঘরে বসবাসরত নন। যার একজন মো. সোহাগ যিনি দৌলতখান উপজেলার ইউওনোর ড্রাইভার, একজন উপজেলার চাকুরি রত নারী এবং পরিত্যক্ত ঘরগুলি অধিকাংশ নামে বেনামে বরাদ্ধ করিয়ে দেয় উপজেলার ইউএনও নিজস্ব পরিচালক দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারগন এর নিজস্ব আত্মীয় স্বজনদের নামে। মনেহচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভুমিহীন মানুষদের স্বপ্নের মুজিবর্ষের উপহার এগুলো যেন হরিলুটের একটি বিশাল কারখানায় পরিনত করেন দৌলতখান উপজেলার গুনধর ইউএনও কাওছার হোসেন।আর যার পরিচালনা দায়িত্বে থাকা প্রকল্পের পরিচালক সহ ঠিকাদারগন। এদিকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হলেও অধিকাংশ নেই কোনো বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মান ও কয়েকটি ঘরের কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই বিল উত্তোলন করে নিয়ে যায় দৌলতখান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাওসার হোসেন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ঘর মালিকরা সহ উপজেলার স্থানীয়রা।

এদিকে কাওসার হোসেন বর্তমানে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ভোলা দৌলতখান হতে বদলী হয়ে কর্মরত রয়েছেন। উক্ত অনিয়ম ও দূর্নীতি বিরুদ্ধে জানতে চাইলে কাওছার হোসেন জানান, মুজিববর্ষে গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরি ও বিতরণে তিনি কোন অনিয়ম করেননি। বরং ৪২টি ঘর তৈরিতে তার নাকি ব্যক্তিগত ভাবে ৬ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে বলেও জানান। এসকল প্রকল্পের ঘর নির্মানের অনিয়মের পর গনমাধ্যমে ও মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে উক্ত অভিযোগের পেক্ষিতে ভোলা জেলা প্রশাসক তৈফিক ই-লাহী ও এডিসি (রেভিনিউ) মামুন আল ফারুক কে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভুমিহীনদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘর প্রকল্পের অনিয়ম ও দূর্নীতির ভোলার দৌলতখান উপজেলার সাবেক নির্বাহীর কাওসার হোসেন প্রথম ধাপে দেয়া প্রকল্পের পরিচালক দায়িত্বে ঠিকাদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আগামী দুই একদিনের মধ্যে একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবেন বলেও জানান তিনি। এবং অভিযোগ সত্য প্রমানিত হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের অাশ্বাস দেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2017
Design By MrHostBD