শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
ভোলা কঠোর লকডাউনের মধ্যেও রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্রগ্রাম থেকে ভোলায় আসছে কর্মহীন অসহায় মানুষ। তবে থেমে নেই প্রশাসনের কঠোরতা। শহর এবং শহরতলীর রাস্তা ও হাট-বাজারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। জরিমানা করা হচ্ছে খোলা রাখা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোকে। প্রতিদিন ফেরি ও ট্রলারে করে শত শত মানুষ ভোলাতে আসছে। পুলিশী ব্যারিকেডসহ নানা ধরনের বাঁধা পেরিয়ে আসছে এসব মানুষ। চাকুরী না থাকায় অসহায় মানুষ কোন উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত গ্রামের বাড়ি চলে আসছে বলে একাধিক ব্যক্তি জানান। তবে ফেরি থেকে নেমে পড়তে হচ্ছে আইশৃংখলা বাহিনীর প্রশ্নর জালে। নানা ধরনের অজুহাতে পার পেতে হচ্ছে এদের। চট্রগ্রাম থেকে আসা মো: সাইফুল্লাহ যাবেন লালমোহন। গত ২০দিন আগে একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকুরী নেন। গত ৪ জুলাই চাকরী না থাকায় তিনি দেশে ফিরেছেন। থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই তিনি ফিরেছেন। অনেক বাঁধা পেরিয়ে ভোলায় পৌছে বোরাক আর মাহেন্দ্রতে করে যাবেন।
একই অবস্থা হানিফ,রাজ্জাকসহ আরো অনেকেরই। অপরদিকে থেমে নেই প্রশাসনের কঠোরতা। শহর থেকে শহরতলীর হাট-বাজার গুলোতে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট র্যাবসহ। এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার কারনে জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া নৌ-পথে চলাচল বন্ধ রাখতে ভোলার ইলিশাসহ আশপাশের এলাকায় সাধারন মানুষকে সচেতনমুলক প্রচারনা চালায়। এ সময় কোস্টগার্ড দক্ষিন জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম মনজুর-উল- করিম চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।