শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
রাঙ্গাবালীতে মাটি কাটা কে কেন্দ্র করে মা ও দুই ছেলেকে মারধর কলাপাড়ায় সক্রিয়  জাল  টাকা সরবরাহ চক্রের সদস্যরা কলাপাড়ায় বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল পটুয়াখালীতে গরুর মাংস ৬৫০টাকায় এবং ডিমের হালি ৩৬ টাকা,দুধের লিঃ৬৫ টাকায় মিলছে জনগণের হাতে ক্ষমতা পরিবর্তনের হাতিয়ার ছিল : নুর ইফতার মাহফিলের বরিশালে সড়কের মধ্যে নির্মিত গেট উচ্ছেদের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে বৃদ্ধ প্রেমিককে হত্যা, প্রেমিকা ও তার স্বামী আটক মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের ইজারা পেলেন তালুকদার এন্টারপ্রাইজ, জনমনে স্বস্তি গলাচিপা শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ৫০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান কলাপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা সহ চার সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি বিষয়ক কৃষক মাঠ দিবস বরিশালে ঝোপের মধ্যে কাঁদছিলো নবজাতক, উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি বরিশালে আন্দোলন-সংগ্রামে কারাবরনকারী নেতাকর্মীদের মাঝে তারেক রহমানের উপহার ইফতার সামগ্রী বিতরন গলাচিপা নাগরিক কমিটি সভাপতি সোহরাব, সম্পাদক শংকর
বিধিনিষেধ বাড়ল আরও ৭ দিন

বিধিনিষেধ বাড়ল আরও ৭ দিন

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স: করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ বা কঠোর ‘লকডাউন’ আরও সাতদিন বাড়িয়েছে সরকার। আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সোমবার (০৫ জুলাই) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো।

গত কয়েকদিন ধরেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুও। সবশেষ ৪ জুলাই ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়। আর আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজারের বেশি।

করোনা সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে ২১ দফা নির্দেশনা দিয়ে গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। নতুন প্রজ্ঞাপনে আগের শর্তগুলো অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানানো হয়।

সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে।

সড়ক, রেল ও নৌ-পথে পরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব প্রকার যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

শপিংমল/মার্কেটসহ সব দোকান বন্ধ থাকবে।

সব পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান ওয়ালিমা, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমুহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবেন।

ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা যেমন- কৃষিপণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।

পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক/লরি/কাভার্ডভ্যান/কার্গো ভেসেল এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র, রেল ও স্থল) এবং সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।

শিল্প-কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।

কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন/বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টিকা কার্ড দর্শন সাপেক্ষে টিকা দেওয়ার জন্য যাতায়াত করা যাবে।

খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকিট প্রদর্শন করে গাড়ি ব্যবহারপূর্বক যাতায়াত করতে পারবেন।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদে নামাজের বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও আনসার নিয়োগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি সময় নির্ধারণ করবেন। সে সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোনো কার্যক্রমের প্রয়োজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার পক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2017
Design By MrHostBD