বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত মুঠোফোন জব্দ করছেন বরিশাল সোনালী ব্যাংকের জিএম উজিরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক উপহার পেলো মুহাইমিন শুভ গলচিপায় গোলখালী ইউনিয়নে ইমামদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সরকারকে ৭ দিনের সময় দিলাম, বিচার না পেলে রাজপথে একা দাড়াবো……….. নুরুজ্জামান কাফি কলাপাড়ায় জমিসহ বাড়ীঘর জবর দখললের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ লেলিনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন সমাবেশ কলাপাড়ায় জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কাফির ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা বরিশালে অপারেশন ডেভিল হান্টে আটক ১৬ জন বাউফলে বিস্ফোরক মামলায় দ্বিতীয় দিনে আরও ৩জন গ্রেফতার পটুয়াখালীতে হোটেলের চুলা থেকে আগুন,১৫ দোকানঘর পুরেছাই ফায়ার সার্ভিসের ১কর্মী আহত অপারেশন ডেভিল হান্ট’ কলাপাড়ায় যুবলীগ নেতা আটক গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে পায়রা-১৩২০ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতবিনিময় বরিশালে ফলচাষের আধুনিক চাষাবাদ ও ফলন বৃদ্ধি বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত ক্ষমতায় টিকে থাকতে আওয়ামীলীগ সরকার ভারতের সাথে গোপনে দেশ বিরোধী অনেক চুক্তি করেছে- মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বাউফলে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার ০৫
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যারা এসেছিলেন, যারা আসেননি

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যারা এসেছিলেন, যারা আসেননি

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: আজ বঙ্গভবনে ঢোকার জন্য দুপুরের পর থেকেই ভিড় জমছিল। প্রায় হাজার খানেক অতিথি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার বেশ আগেই দরবার হল পরিপূর্ণ।

তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সমর্থক বিভিন্ন পেশাজীবী এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সংখ্যাই বেশি। আর ছিলেন সামরিক-বেসামরিক আমলা এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।

আওয়ামী লীগের যে সিনিয়র নেতারা এবার মন্ত্রিসভায় ডাক পাননি, তাদের অনেককেই দেখা গেছে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। সামনের দিকের কাতারেই বসেছিলেন সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী। ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এম এম মুহিত।

তাদের অনেকেই ছিলেন বেশ গুরুগম্ভীর।

নতুন সংসদে যিনি বিরোধী দলীয় নেতা হতে চলেছেন, সেই সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদকে অনুষ্ঠান দেখা যায় নি। বলা হচ্ছে তিনি অসুস্থ। তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদও গরহাজির ছিলেন। চোখে পড়েনি জাতীয় পার্টির কোন প্রথম সারির নেতাকে। দেখা যায়নি বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের কোন নেতাকেও।

একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা। ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বিকল্পধারার নেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

মহাজোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাম্যাবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া এবং জাসদের শিরিন আখতারকে দেখা গেছে। তবে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে দেখা যায়নি অনুষ্ঠানে।

মন্ত্রিসভায় যারা শপথ নিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই নতুন এবং অপেক্ষাকৃতভাবে বয়সে তরুণ। তাদের অনেকেই ছিলেন উৎফুল্ল।

নবীন মন্ত্রীদের অনেকে সামনের কাতারে বসে থাকা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, তাদের আশীর্বাদ চান।

সাহসী পদক্ষেপ
সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী মনে করেন একটা মন্ত্রিসভায় এত বেশি সংখ্যায় নবীন এবং তরুণদের জায়গা করে দেয়া, সেটা খুবই সাহসী একটা পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই সাহসী একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে তারা কাজ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মন্ত্রিসভায় কেন মহাজোটের কোন শরিকদল থেকে কাউকে নেয়া হয়নি, সে প্রশ্ন উঠছিল রোববার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইঙ্গিত দিলেন, মন্ত্রিসভায় তাদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা এখনো আছে।

মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ইঙ্গিত ছিল তার কথায়, “এখন হয়তো শরিকদের কেউ মন্ত্রিসভায় নেই, কিন্তু ভবিষ্যতে যে হবে না তা তো বলা যায় না।” তিনি মনে করেন, নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম এবং শেষ কাজ হবে দলের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।

আওয়ামী লীগের প্রথম সারির ডাকসাইটে নেতারা যে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি, সেটিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে রাজী নন ওবায়দুল কাদের। তিনি এটিকে দেখছেন, নতুন করে দায়িত্ব বন্টন হিসেবে।

“কাউকে সরিয়ে দেয়া হয়নি বা বাদ দেয়া হয়নি। তারা দলের জন্য কাজ করবেন। দল গোছানোর কাজ করবেন।”

তিনি আরও বলছেন, সরকার এবং দল যেন দুটি আলাদা সত্তা বজায় রেখে চলে, সেটাও হয়তো কাজ করেছে এরকম একটি মন্ত্রিসভা গঠনের পেছনে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD