শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি।। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গঠন করা হয়েছে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি। সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য (১৩ জানুয়ারি) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি অনুমোদন করে।
নবনির্বাচিত এই কমিটিতে রাইহান আহমেদ কে সভাপতি হাসিব মাহমুদ হিমেল কে সাধারণ সম্পাদক এবং রাকিব হাসান কে সহ-সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। মো. রাকিব হাসান ভোলা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কৃতিসন্তান। তার বাবার নাম মো. বিল্লাল খান এবং মাতা,তাহমিনা বেগম। স্কুল জীবন থেকেই তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিকে অনুসরণ করতেন। ২০১১ সালে ভোলা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি,ভোলা সরকারি কলেজ থেকে ২০১৩সালে এইচএসসি, ২০১৭ সালে বিবিএ এবং বর্তমানে স্নাতকতর শেষপর্বে অধ্যয়নরত রয়েছেন। রাকিব হাসান ভোলা সরকারি কলেজ ২০১১সাল থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি সক্রিয় ভুমিকায় নিয়ে জড়িয়ে পরেন। এবং ভোলা কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে সফলতায় দায়িত্ব পালন করেন।
রাকিব হাসান ছাত্রলীগের দুঃসময়ের কান্ডারি, রাজপথে সর্বদা সামনে থেকে নেতৃত্ব দানকারী, এবং ভোলা ১ আসনের জননেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপির বিশ্বস্ত হাতিয়ার হিসেবে দলে যেকোন প্রয়োজনে তিনি সর্বদা ঝাপিয়ে পরেছেন। মো রাকিব হাসান তার রাজনীতির জীবনে দলের সকল ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়েও রাজপথে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবং তিনি নবনির্বাচিত ভোলা জেলা ছাত্রলীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসিব মাহমুদ হিমেলের অন্যন্য নেতৃবৃন্দদের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও বন্ধু সহপাঠী। ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় পর নিজের সর্বোচ্চ মেধা, ত্যাগ ও শ্রমের সমন্বয়ে ভোলা জেলা ছাত্রলীগকে আরও সুসংগঠিত করে তুলবেন এমনটাই বিশ্বাস ভোলা জেলা ছাত্রলীগের হাজারো ছাত্রলীগ কর্মীর। মো. রাকিব হাসান ভোলা জেলা ছাত্রলীগ এর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তাকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মী সহ তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। এবিষয়ে নবনির্বাচিত জেলা কমিটির সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পেয়ে মো. রাকিব হাসান তার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন- সর্বপ্রথম তাহাকে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সহসভাপতি করায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি- আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক- লেখক ভট্টাচার্য সহ ভোলার-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।এবং তিনি বলেন,সারা জীবন মুজিবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে শিক্ষা শান্তি,প্রগতির ধারাকে অব্যাহত রেখে সংগঠন পরিচালনা করেছি৷ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি। তবে জাতির জনকের ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন,এবং ৬৯এর গনঅভ্যুত্থানের মহানায়ক ডাকসু ভিপি জাতীয় নেতা, সাবেক শিল্প ও বানিজ্যমন্ত্রী ও ভোলার অভিবাবক প্রিয় আমার নেতা তোফায়েল আহমেদ এমপির আদর্শের মাঝেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শর প্রতিচ্ছবি খুজে পেয়েছি।আর তার অনুপ্রেরণায় সে আদর্শের ধারাকে সমুন্নত রেখেই নেতার স্নেহধন্য হয়েই রাজনীতি করে যাবেন সারাটি জীবন। এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিবাবক ও ছাত্রলীগের শেষ ঠিকানা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আধুনিক ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে অগ্রনী ভুমিকা রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান রাকিব হাসান। ভোলা জেলা ছাত্রলীগের বিগত কর্মকান্ডের যেসকল ব্যার্থতার কারনে যে সুনাম ঐতিহ্য হারিয়েছে সেই হারানো ঐতিহ্য গৌরব সাংগঠনিক ভাবে ফিরিয়ে আনতে,তিনি ভোলা জেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাদে কাদ মিলিয়ে কাজ করার প্রানপন চেষ্টা অব্যাহত রাখার এক পূর্ণ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।এবং তিনি ভোলাবাসির সকল শ্রেনী পেশার মানুষসহ নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া ও সহয়তা কামনা করেন।