শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে সরকারি খাসজমিনে মৎস চাষের পুকুর লিজ বাবদ নিয়ে অবৈধভাবে সরকারি বন ও পুকুর পাড়ের গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে জানা যায় ২০১৯ সালে ওমরপুর ইউনিয়নের বাউল বাড়ির বাসিন্দা সুমিত্র বাউল পিতা.মৃত মনি চন্দ্র বাউল। বিগত ১ বছর আগে উপজেলা কতৃক সরকারের খাস জমির পুকুরে মৎস চাষের জন্য দরপত্র আহব্বান এর মাধ্যমে পুকুর লিজ নেন।যার পুকুরের পার সহ মোট জমির পরিমান ১.৩৭ একর। তবে অভিযোগ উঠেছে প্রতি বছর নিজের প্রভাব ও অফিসিয়াল ম্যানেজ করার মাধ্যমে ক্ষমতা বলে চরফ্যাশন উপজেলা মৎস চাষ করতে লিজ নিয়ে থাকেন। তবে মাছ চাষের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সময়ে পুকুরের পাড়ে থাকা বিভিন্ন বনজ ফলজ ও কাঠ গাছ অবৈধভাবে ইতিপূর্বে ন্যায় গোপনীয়তায় কর্তন করে বিক্রি করেছেন বলেও জানা যায়। তার ধারাবাহিকতা গত ১৩,ডিসেম্বর কাক ডাকা ভোরে সরকারি চোখ উপক্ষয়, খাস জমির পুকুরের পাড়ের বিভিন্ন প্রকার ছোট বড় এবং অসংখ্য গাছ বিক্রি করার উদ্দেশ্য কর্তন করেন। যার আনুমানিক দাম প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মতো বলে জানা যায়। এদিকে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার দিন তাকে ফোন দিলেও তার মুঠো ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তদন্তকরে ঘটনার তথ্যপ্রমাণ সত্যতা পেয়ে বিষয়টি চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. রুহুল আমিনকে জানালে তিনি সরাসরি উপজেলার ভুমি কর্মকর্তা তহসিলদার কে সরজমিনে পাঠান। এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে নির্বাহীর নির্দেশে গাছ কর্তন বিরত রাখেন। এদিকে উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে আবারো ফোনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সৌমিক বলেন, তিনি সরকারি পুকুরের পাশে থাকা তার ব্যক্তিগত জমির গাছ কেটেছেন।তবে তার মধ্য হয়তো দুই একটি সরকারি গাছ ভুলে কেটেছেন বলেও জানান। যদি তার গাছ কর্তনরত অবস্থায় সরকারি কোন গাছ কর্তন হয়ে থাকে তাহলে তিনি তার জরিমানা দিবেন বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি। এদিকে অভিযুক্ত সৌমিক বাউল বিষয়ে খোজ নিয়ে জানাযায়, দীর্ঘ একযুগ ধরে প্রতি তিন বছর পর পর বিভিন্ন নামে বেনামে সরকারি এপুকুরটি লিজ নিয়ে আসছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহয়তায় অফিসিয়াল সুসম্পর্ক ও পৈতৃক বাড়ি থাকার সুবাদে পুকুরটি লিজ নেয়। প্রতিবার বিশাল এই পুকুরের মৎস চাষের পাশাপাশি পুকুরে পাড়ের সরকারি বিভিন্ন গাছ কেটে নেন এবং বিক্রি করেন বলে স্থানীয় একটি সুত্রে জানা যায়।সৌমিক বাউল পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি চরফ্যাশন এর দুলারহাট আদর্শডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের একজন প্রভাষক।যার চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নামে বেনামে জমিজামা বিষয় সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও চরফ্যাশন পৌরসভা সহ গ্রামে রয়েছে কয়েকটি বাড়ি। সরকারি খাস জমি ভোগদখল সহ পারিবারিক ভাবে অন্যের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে যথেষ্ট। অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান,গত বছর বর্ষা মৌসুমে এ পুকুরটি লিজ নেওয়ার পর পুকুর পাড়ের প্রায় ১৬ হাজার টাকার তালগাছ সহ অন্যান্য গাছ বিক্রি করছেন। আর এবছর মোট ১২০০০ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করেছেন। যার পৈতৃক সম্পতি সরকারি খাস জমি পুকুর পাড়ে পাশে থাকার সুবাদে এবারো নিজের গাছ কর্তনের নামে প্রায় ৬-৮ হাজার টাকার সরকারি গাছ ইতিমধ্যে কেটেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকের তথ্যপ্রমাণ এর ভিত্তিতে চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহীকে জানালে তার আদেশে গাছ কাটা বন্ধ রাখেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী জানান,আমরা তার জমি সার্ভে করে তদন্ত করে দেখবো,যদি সেখানে সরকারি কোন গাছ কাটার অভিযোগ প্রমানিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা করে আইননুসারে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান তিনি।