শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডু উপজেলার মাদামবিবিরহাট ও টোবাকো গেইট এলাকায় পৃথক দুইটি সংঘর্ষে জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল ও নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় পেট্রলবোমা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি পরষ্পরকে দোষারোপ করছে।
সীতাকুন্ড আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন আমাদের লোকদের ওপর হামলা করে। তারা ২০১৩-১৪ সালের মতো পেট্রলবোমা ব্যবহার করে। বোমায় ছাত্রলীগ কর্মী তৈয়ব আলী, সাদ্দাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেক, নুর উদ্দীন, সাহেদ মেম্বারসহ আটজন আহত হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সীতাকুন্ড ভাটিয়ারী ইউনিয়নের তাঁতী লীগের আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন টিটু বলেন, ভাটিয়ারী এলাকায় গণসংযোগকালে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা পেট্রলবোমা, দা, ছুরি, লাঠি নিয়ে আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে।
তবে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক তফাজ্জল আহমেদ হামলার জন্য আ.লীগকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, পুরো সীতাকুন্ড এলাকায় আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করছে। আমাদের মাইক ভাঙচুর করছে। পোস্টার ও ব্যানার ছিড়ে ফেলছে। আমাদেরকে গণসংযোগ করতে দিচ্ছে না।
সীতাকুন্ড ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইরফানুল হাসান রকি বলেন, আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে মাদাম বিবিরহাট এবং টোবাকো গেইট এলাকায় গণসংযোগে গেলে ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক, রাম দা ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় খোরশেদ আলম মেম্বার, ভাটিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক, ভাটিয়ারী ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন, মো. মহি উদ্দীন, মিজানুর রহমান রুবেল, মো. রানা ও মহিউদ্দিন আহত হন। আহতদের নগরীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলওয়ার হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে বিজিবি ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।