বুধবার, ৩০ Jul ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার বিতরণ ও সন্মাননা কলাপাড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির পদ স্থগিত কুয়াকাটা সি-বিচ রক্ষণাবেক্ষণের আশ্বাস দিলেন বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি বাউফলের তেঁতুলিয়ায় ট্রলার থেকে ছিটকে পড়ে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, ভাঙ্গন রোধের দাবিতে মানববন্ধন বেড়িবাঁধে সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের গাছ কেটে পাউবো’র যায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ’র অভিযোগ দুমকিতে সরকারি ডাক্তার এনামুল হক কর্তৃক রুগীর স্বজনকে হুমকি প্রদানে থানায় অভিযোগ টেকসই বাধের অভাবে চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ পানিবন্দি লঘুচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল।।পায়রা সমুদ্র বন্দরে ০৩ নম্বর সতর্ক সংকেত নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত কুয়াকাটায় সমুদ্রে গোসলে নেমে জোয়ারে ভেসে যাচ্ছিল পর্যটক, উদ্ধার করলো জেলেরা অতিরিক্ত পিপি নিয়োগ পেলেন তারেক আল ইমরান বাউফলে অসাধু ব্যবসায়ীর কবলে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ চাঁদাবাজির টাকা নয় সৎ পথে উপার্জিত অর্থ দান করলেন মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ কলাপাড়ায় ক্ষতিকারক সামাজিক রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সম্প্রদায় বিষয়ক সংলাপ
নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় নদী ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন।

নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় নদী ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন।

Sharing is caring!

পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম-এমপি বলেছেন, গত বছর আমি মেহেন্দিগঞ্জে এসেছিলাম, তখন নদী ভাঙ্গনে আপনাদের দুঃখ-কষ্ট দেখেছি। আমি নিজেও তা দেখে ব্যথিত হয়েছি। আপনারা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একটা নির্দেশনা হলো, বাংলাদেশে নদী ভাঙ্গনে কোন মানুষ যেন কষ্টে না পরে। পাশাপাশি এসব দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, পাশে দাড়ানোর জন্যও প্রধানমন্ত্রীর একটা নির্দেশনা রয়েছে। তার নির্দেশনা পেয়ে আমি দায়িত্ব নেয়ার পরই মেহেন্দিগঞ্জে বেশ কয়েকবার এসেছি।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় নদী ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন উপলক্ষে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমি কাজে বিশ্বাসী, বক্তব্য দিতে জানি না।  আর তাই আমি কাজ করতে ভালোবাসি তাই বক্তব্য একটু কম দেই।

তিনি বলেন, শ্রীপুরের নদী ভাঙ্গন এলাকা দেখতে এসে আমি সার্বিক পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেছি। তখন দেখলাম শ্রীপুরের নদীর মাঝের চরটি কাটা প্রয়োজন। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে নদী শাসন করতে হবে এবং তীর সংরক্ষন করতে হবে। নদী শাসন না করা গেলে আমরা যতোই তীর সংরক্ষন করিনা কেন সেটা টেকসই হবে না।  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নদী শাসন করার জন্য শ্রীপুরের নদীর মাঝের চরটি কাটার নির্দেশনা দেই। আমি যদি টেন্ডারে যেতাম, তাহলে এ প্রকল্প পাশ করাতে একবছর লাগতো এবং অনেক ব্যয়বহুল হতো। এজন্য আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব ড্রেজার এনে কাটার কাজ শুরু করি।  আর এরফলাফল হিসেবে স্থানীয় সংসদ জানিয়েছেন বিগত সময়ের থেকে এবারে শ্রীপুরে ভাঙ্গন কম হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে আরো কিছু কাজ করতে হবে, আর তা দেখতেই এখানে আমি এসেছি। কোথায় কতটুকু কাজ আরো করতে হবে। যাতে করে আগামী বর্ষায় আর শ্রীপুর না ভাঙ্গে। মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া ও হিজলায় আমাদের প্রকল্প চলমান রয়েছে। কিন্তু শ্রীপুরে দেখেছি যতোই তীর সংরক্ষন করি না কেন তা ভাঙ্গনের হাত থেকে রোধ করা যায়নি। গতবছর বর্ষায় শ্রীপুরে ইমারজেন্সিভাবে অনেক জিও ব্যাগ ফেলেছিলাম। তা টেকসই হয়নি, নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এটা আপনারা দেখেছেন এবং আমাকেও বলেছেন। এজন্য নদী শাসনের বিকল্প নেই। তাই নদীর স্রোতের গতিপথ যদি মাঝামাঝি দিয়ে করতে পারি তাহলে শ্রীপুরের দিকে পানির ধাক্কাটা কম হবে এবং শ্রীপুরের দিকে ভাঙ্গনটা হবে না।

তিনি বলেন, আপনাদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য করোনার মধ্যেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন। আমরা চাই আপনাদের কষ্ট কম হোক, নদী ভাঙ্গন কমে আসুক। আর আজ আমরা যেটা করছি, তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা। আজ আমাদের ড্রেজার দিয়ে যে কাজ করার সামর্থ্যটা রয়েছে, সেটা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনা গত ১০ বছরে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেছে তার কারনেই। আপনাদের যে দুঃখ-দুর্দশা রয়েছে সেটা লাঘব করার চেষ্টা করছি। আপনারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোআ করবেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার সপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে।

আমি সাবধান করে যেতে চাই, এতোগুলো মানুষ এখানে এসেছেন, আপনাদের নাইনটি পার্সেন্টেরই মাস্ক নেই। আমরা ড্রেজিং করে শ্রীপুরকে বাঁচিয়ে দিবো, কিন্তু যদি আপনারা সুস্থ না থাকেন তাহলে শ্রীপুর বাঁচিয়ে কোন লাভ নেই। আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ থাকবে, এরপর থেকে চেষ্টা করবেন যতক্ষন সম্ভব মুখে একটা মাস্ক লাগানোর। এটা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।

যাদের বয়স কম তারা মনে করেন যে আপনাদের করোনা হবে না। হয়তো হবেই না, আর হলেও হয়তো লক্ষন থাকবে না। আর তারপর আপনি যখন আপনার বয়স্ক বাবা-মায়ের কাছে যাবেন, সে কিন্তু আক্রান্ত হবেন। আপনার লক্ষন না থাকলেও তারা আক্রান্ত হলে বাঁচানোটা কঠিন হতে পারে। তাই নিজের স্বার্থে আপনার পরিবারের স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। যারা নতুন প্রজন্ম রয়েছে, তারা যদি সমৃদ্ধশালী দেশকে দেখতে চান তাহলে নিজেদেরকে সুরক্ষিত করতে হবে, নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই, আজ যে ভূল করেছেন তা আর ভবিষ্যতে করবেন না, সবসময় সাথে মাস্ক রাখবেন। এটা আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য খুবই প্রয়োজন।

পরিদর্শন কালে প্রতিমন্ত্রীর সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ-এমপি

মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD