বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ অপরাহ্ন
পিরোজপুরে জেলার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালিগঙ্গা, তালতলা, মধুমতি, কচা, সন্ধ্যা ও বলেশ্বর নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমায় উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ সব নদীর তীরবর্তী ১৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার সদর উপজেলার ২৭টি, ইন্দুরকানী উপজেলার প্রায় ২৭টি, কাউখালী উপজেলার ৪০টি, মঠবাড়িয়া উপজেলার ৩টি, ভান্ডারিয়া উপজেলার ২৫টি, নাজিরপুরের ৩০টি, নেছারাবাদ উপজেলার ১৮/২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর আগে গত বুধবার (১৯ আগস্ট) প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ছিলে ৭৫টি।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্লাবিত গ্রামগুলো অসহায় মানুষদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির আহম্মেদ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজিদ জানান, গত বুধবার উপজেলার ৪টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর থাকলেও বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাতে উপজেলার কমপক্ষে ২৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে কলাখালী ইউনিয়নে ৮টি, শারিকতলায় ৫টি, শংকরপাশায় ৪টি, টোনায় ৬টি ও দুর্গাপুর ইউনিয়নে ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পৌর শহরের আদর্শপাড়া ও হুলারহাট এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঠবড়িয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. নাছরিন আক্তার জানান, তার উপজেলার ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আমীন জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যার আনুমানিক সংখ্যা ২৭/২৮টি হবে।
ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম নবীন জানান, ওই উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ সব গ্রামের ১৭শ’ হেক্টর কৃষি জমি প্লাবিত হয়ে ফসল নষ্ট হয়েছে।
নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারেফ হোসেন খান জানান, বৃহস্পতিবারের জোয়ারের পানিতে উপজেলা সদরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ও রাস্তা ডুবে গেছে। এ ছাড়া উপজেলার শেখমাটিয়া, দেউলবাড়ি, কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি জানতে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্রের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ
পাওয়া যায়।