শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
এম এইচ ফাহাদ- বিশেষ প্রতিনিধিঃ তৃপ্তি রায় বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স।রবিবার দুপুর ১ টায় হাসপাতাল থেকে ৪৮ পাতা ঔষধ নিয়ে বাসায় ফেরাত পথে সংবাদকর্মীর ক্যামেরা বন্ধি হন।ওই নার্সের দাবী তার স্বজনের জন্য এগুলো নেওয়া।একজন স্টাফ হিসেবে সে ঔষধ পেতে পারেন।তাই বলে কী ৪৮ পাতা?।নিশ্চয়ই কোন ডাক্তার তার ব্যবস্থাপত্রে এত পরিমান ঔষধ লিখবেন না। আর তার স্বজন হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি এটা নিশ্চিত। কারণ রোগি আসলে বাহক তিনিই হতেন।আমরা মনে করি এটা তার ক্ষমতার অপব্যবহার।নচেৎ বাড়তি সুবিধা। প্রশ্নহলো এ ঔষধগুলো আম জনতার করের টাকায় কেনা।বর্তমান সরকার জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য এগুলো তৃনমূল পর্যন্ত সরবরাহ করছেন।দুঃস্থদের অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা।কিন্তু পরিতাপের বিষয় জবাবদিহিতা কিংবা মনিটরিং ব্যবস্থার অভাবে আজ আমজনতার ভাগ্যের চাকা উল্টো দিকে ঘুরছে। যার কারণে দুঃস্থদের পরিবর্তে সরকারি ঔষধ কিংবা সুবিদা নিয়মনীতি না মেনে আপন ইচ্ছায় ঢুকছে তৃপ্তি রায় কিংবা সাহেদ,সাবরিনা গংদের পকেটে। আমরা রোগিদের কাছে প্রায়ই শুনি হাসপাতালে ঔষধ নাই। তাহলে সরকারি বরাদ্দ যাচ্ছে কোথায়?।বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় সরকারি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার অফিস কিংবা লোকবল আছে।এরা যদি বিষয়গুলোর দিকে একটু ভালোভাবে খেয়াল রাখতেন তবে আমার বিশ্বাস সাহেদ,সাবরিনা কিংবা প্রদীপ গংরা এতো বেপরোয়া হতে পারতেন না।কারণ এরা একদিনে সৃষ্টি হয়নি।আর হতে ও পারবে না।খবরদারি মহলের শীতনিদ্রার সুযোগে এরা সৃষ্টি হয়। দিন শেষে আমরা সহজেই দোষগুলো চাপিয়ে দেই রাজনীতি বিদগনের উপর।যতই তাদেরকে দোষারোপ করি স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, প্রবৃদ্ধি কিংবা সমৃদ্ধির চালিকা শক্তি কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই। পরিশেষে ,আজকের সৃষ্টি ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি। কারণ ক্ষুদ্র থেকেই বড় ঘটনার সৃষ্টি।