শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন
এম এইচ ফাহাদ- বিশেষ প্রতিনিধি। ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নিঃসন্তানী জননী কে সাজানো চুরির অপবাদ দিয়ে সংসার বিচ্ছেদ এর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য বারেক পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে। নিঃসন্তানী জননী কহিনুর বেগম (৪৫) জানান, আজ থেকে আনুমানিক ৮ বছর আগে ৬নং ওয়ার্ডের চর আনন্দ গ্রামের ৫ সন্তানের জনক মতলব সরদারের ছেলে সিরাজ সরদারের কাছে বিয়ে হয় আমার। বিয়ের সময় আমাকে ২ গন্ডা জমি আমার নামে দেওয়ার কথা কিন্তু ভুয়া একটি সাদা ষ্ট্যাম্প দিয়েছে আমাকে, স্বামীর সুখের জন্য জমির প্রতি লোভ করেনি আমি। এর মধ্যে আমাকে একাদিকবার মারধর করেছে এবং আমার স্বামীর আগের ঘরের মেয়ের জামাই আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিয়েছে, আমি বারেক মেম্বার কে বিচার দিলেও তিনি উল্টা বলছে আমার দোষ, তখন বারেক মেম্বার বলছে যে আমার আর কোন দোষ পাইলে হাতে পায়ে বিদায় করে দিবে। বারেক মেম্বারের এই কথার পর আমার স্বামীর আগের ঘরের বড় ছেলে মিজান আমার কাছে ঈদুল আযহার পরের দিন ৫০ হাজার টাকা রেখেছে, আমি তাদের সামনেই বাক্সর মধ্যে টাকা রেখেছি, ওই বাক্সার পাশে ঘুমিয়েছে মেয়ের জামাই, মেয়ে,তারা সবাই চক্রান্ত করে টাকা সরিয়ে আমাকে চোর অপবাদ দিয়ে মেম্বার কে জানিয়ে আমার মাথার চুল কাটতে ধরেছে এবং মারধর করে, আমার জিনিস নিয়ে গেছে স্বামী ও আগের ঘরের মেয়ে, ছেলে ও তার বৌ। আমি বারেক মেম্বার কে জানালে সে জানান, টাকা তুমিই নিয়েছো, টাকা দিবে আর না হয় হাতে পায়ে বিদায় করে দিবো তোমাকে। এর পর আমি ফাঁড়িতে অভিযোগ করলে পুলিশ গেলে বারেক মেম্বার পুলিশের কাছ থেকে সময় নিয়ে ফাঁড়িতে শালিশের তারিখ হয়। তারিখ অনুযারী আমি ফাঁড়িতে গেলে বারেক মেম্বার আমার পক্ষের শালিশদার না যেতেই তিনি বলেন টাকা তুমি দিবে, আগামী ৮ দিনের মধ্যে টাকা না দিলে হাতে পায়ে তোমার বিদায় ওই সংসার থেকে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে মহিলা বলেন, ৮/১০ বছরে শরীর মাটি করেছি এই সংসারে আজ বারেক মেম্বার সব শেষ করে দিচ্ছে ওদের পক্ষ নিয়ে, বিয়ের পর ১ লক্ষ টাকা দিসি সেটাও নাকি দিবে না, আমি এখন কোথায় যাবো? ভাইরা তাদের বাড়ীতে জায়গা দিচ্ছে না, বারেক মেম্বারের ভয়ে কেউ আমার পক্ষে কথা বলার সাহস পায় না, আমার স্বামীর আগের স্ত্রী বারেক মেম্বারের আত্মীয় ছিলো তাই তিনি সেই পক্ষে কথা বলছে, এলাকার লোকজন আমার পক্ষে আফসোস করলেও বারেক মেম্বারের ভয়কে কেউ মুখ খুলে না। নিঃসন্তানী কহিনুর বেগম ভোলার রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কহিনুর এর স্বামী সিরাজ সরদার বলেন, মারধর করেছি সঠিক মেম্বার সব জানে। ইউপি মেম্বার বারেক পাটোয়ারী বলেন, মহিলা (কহিনুর বেগম) যা বলেছে সেটাই সত্য।