সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
বৃহষ্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরের কাউনিয়ায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত পরশু রাত থেকে কোন ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ গনগ্রেফতার শুরু করেছে। তাও আবার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সেই রাত থেকে এ পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীকের ২৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার জামায়াত কোন কার্যক্রমে না থাকলেও তাদের ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন থানায় ৪ টি মামলা হয়েছে। যার তিনটি ঘটনা দেখিয়ে আর একটি গায়েবি মামলা।
কেন্দ্রীয় বিএনপির এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সিটি করপোরেশনের ৩০ টি ওয়ার্ডসহ সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ধানের শীষের সমর্থক দলীয় নেতা-কর্মীদেরগত ৩ দিন যাবৎ কোন পারোয়ানা ব্যতিরেকেই গণগ্রেতারসহ মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। যা এখনো অব্যাহত আছে। এতে মানুষের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে এরইমধ্যে আমরা নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। পাশাপাশি নিজ দল ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এমতাবস্থায় নির্বাচনের নিরপেক্ষতা স্পষ্টভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড বলতে কিছু নেই। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে, নির্বাচনে আমার দলীয় নেতা-কর্মীরা আটক থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। পাশাপাশি বরিশালে প্রশাসনে পক্ষপাততুষ্টদের অপসারণ না করা হলে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করাও যাবে না।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় তাই আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অবিলম্বে মুক্তি দাবী করছি। পাশাপাশি নির্বাচনে আমার কর্মী সমর্থকরা যাতে নির্বিঘ্নে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে তার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে প্রশাসনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরপেক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালনের আহবান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবা উদ্দীন ফরহাদ, মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জিয়া উদ্দিন সিকদার, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামাল প্রমুখ।