রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন
সরকারি বরিশাল কলেজের নাম মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নাম করনের দাবি জানিয়ে বরিশালে সংবাদ সম্মেলন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বরিশাল কলেজকে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নামকরন বাস্তবায়ন কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নামকরন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মানবেন্দ্র বটব্যাল।
তিনি বলেন, মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নামে বরিশাল কলেজের নাম করনের দাবিতে কয়েক যুগ ধরে বরিশালের সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলন করে আসছে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সরকারি বরিশাল কলেজের নাম মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নামে করে গেজেট নোটিফিকেশন জারি হওয়া এখন সময়ের দাবি।
তিনি আরো বলেণ, দির্ঘ দিনের দাবির পেক্ষিতে সরকারি বরিশাল কলেজের নামকরন এই সংগ্রামি ও মহান ব্যাক্তি অশ্বিনী কুমাররের নামে করার সিধান্ত সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের বিবেচনাধীন থাকায় আমাদের আশান্বিত করেছে।
তবে আমরা গভীর ভাবে উদ্বোগ ও শঙ্কার সাথে লক্ষ করেছি একটি কুচক্রি মহল মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে সরকারি বরিশাল কলেজের নাম করনের বিরোধীতার অপতৎপরাতায় লিপ্ত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এই অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানান। একই সাথে অবিলম্বে সরকারি বরিশাল কলেজের নামকরন মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নামে করার প্রস্তাবনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলন শেষে নেতৃবৃন্দরা বরিশালের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের নামে নামকরন বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক কেএসএ মহিউদ্দি মানিক বীরপ্রতীক, সদস্য সচিব সাইফুর রহমান মিরন, সমন্বয়ক স্নেহাংশু কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপিকা শাহ সাজেদা, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী, ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলু, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক একে আজাদ, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারন সম্পাদক দুলাল মজুমদার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, পাকিস্তান সরকারের আমলে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের বাসভবনটি সরকার রিকিউজিশন করে এবং তার বাসভবনে ব্রজমোহন কলেজের কসমোপলিটান ছাত্রাবাস প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৬৬ সালে তার বাসভবনে প্রতিষ্টা করা হয় ’বরিশাল নৈশ মহাবিদ্যালয়’। বাংলাদেশ স্বাধিন হওয়ার পর নৈশ কলেজটিকে প্রথমে বরিশাল দিবা ও নৈশ কলেজে রুপান্তর করা হয়। পরে এটির নামকরন করা হয় ‘বরিশাল কলেজ’এরশাদ সরকারের আমলে কলেজটিকে ১৯৮৬ সনে জাতীয়করন করা হলে কলেজটির নামকরন করা হয় সরকারি বরিশাল কলেজ নামে। ১৯৯০ সালে মহাত্মার ঐতিহাসিক বাসভবনটিও ভেঙ্গে ফেলা হয়।