রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: জন্মদিনের অনুষ্ঠান, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ছুটির দিনের ডিনার- এমন অনেক উপলক্ষে আপনার পরিবারে জড়ো হন বন্ধুবান্ধবসহ এর সদস্যরা। কিন্তু ভেবেছিন কী, পারিবারিক এসব অনুষ্ঠানে খাবার আইটমগুলো কতটা স্বাস্থ্যসম্মত।
আপনি বাড়িতে পার্টি দেন খাবারদাবারসহ একসঙ্গে মজা করার জন্য। কিন্তু এসবের পর যদি অসুস্থ হয়ে বিছানায় থাকতে হয় তাহলে কী দরকার সে খাবার আইটেমের?
জেনে নিন আপনার পরিবারই কীভাবে আপনাকে অসুস্থ করে তুলছে :
১। পানিশূন্যতা
কোনো একটি উপলক্ষে যখন পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হই, আমরা প্রায়ই ককটেল
কার্টের উপস্থিতি উপেক্ষা করি। আমরা দেখি না, এটি কতটা প্রলুব্ধকর হয়ে
হাজির হয়েছে। আমরা এ সময় খোশগল্প আর অ্যালকোহল পানে মেতে উঠি। যাই করেন না
কেন, যদি আপনি অন্য কারো বাসায়ও যান, সেখানে যতই লজ্জাবতী লতা হয়ে থাকেন না
কেন, হাতের কাছে পানির বোতলটি রাখতে ভুলবেন না। অন্তত পানিশূন্যতা থেকে
বাঁচার জন্য এটি জরুরি।
২। ধ্বংস করে ঘুমের নিয়ম
ধরুন, বাড়িতে পরিবারের কোনো সদস্য এসেছে, কিংবা এসেছে কোনো আত্মীয় বা
বন্ধুবান্ধব। এ সময় আপনি যদি তার আপ্যায়নের দায়িত্ব নেন তবে আপনাকে চলতে হয়
তার রুটিন অনুযায়ী। এতে আপনার ঘুমের নিয়মটি বাধাগ্রস্ত হয়। সুতরাং, সতর্ক
হোন, তার সমস্ত আপ্যায়নের বিষয়টি সেরে ফেলুন আপনার ঘুমের নিয়ম অনুযায়ী।
৩। উৎসাহিত করে ডেজার্ট খাওয়ায়
বড় পরিবারে কিংবা বাড়িতে আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে ছুটির দিনগুলোতে
সাধারণত চর্বিযুক্ত খাবারের প্রাধান্য থাকে। অন্য কোনো সময় আপনি যে খাবারই
খান না কেন, এই সময় পারিবারিকভাবে আপনাকে এসব খাবার খেতে উৎসাহিত করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে, এসব খাবার খেতে মজাদার কিন্তু, এসবের মধ্যে এমন উপাদান লুকানো
থাকে যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আপনি আক্রান্ত হন
সংক্রমণ আর অসুস্থতায়।
৪। বাড়ির ভেতর আবদ্ধ থাকতে বাধ্য করে
আপনার পরিবার বড় হোক আর ছোট হোক, এমন অনেক উপলক্ষ রয়েছে যা আপনাকে বাড়িতে
আবদ্ধ থাকতে বাধ্য করে; আপনি ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পান না। এতে
বঞ্চিত হতে হয় ভিটামিন ডি থেকে যা পেশি ব্যথা এবং অন্যান্য ক্ষতিকর
উপসর্গের কারণ হয়।
৫। শপিংয়ে যেতে বাধ্য করে
পরিবারই আপনাকে বাধ্য করে শপিংমল বা সুপারমার্কেটে যেতে। যদি আপনার
পরিবারের কারো জন্মদিন থাকে কিংবা থাকে ছুটির দিন তবে আপনি উপহার অথবা
কেনাকাটার জন্য বেরিয়ে পড়েন। আপনাকে মনে রাখতে হবে, স্টোরগুলো এক
একটি জীবাণু কারখানা। যখন আপনি কোনো কিছু স্পর্শ করছেন, মনে রাখবেন তা অন্য
অনেক লোক স্পর্শ করেছে। এতে আপনি সংক্রমিত হতে পারেন জীবানুতে।
৬। উৎসাহিত করে অন্যকে ছুঁতে
পরিবারের সদস্যদের কাছাকাছি থাকা মানে অন্যকে আলিঙ্গন বা একে অন্যের
ছোঁয়াছুঁয়ির ব্যাপারটি থাকেই। এক সময় হাত চলে যায় মুখ স্পর্শে। এতে বাড়তে
পারে ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।
৭। তারা বাড়িতে জীবানু বয়ে আনে
মানুষ যখন আপনার বাড়িতে আসে, আপনি তো আর দরজায় তাদের শরীরের জীবাণু পরীক্ষা করেন না। আর আপনার পরিবারের সদস্য হলে তো কথাই নেই। যিনি হাত দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচি দিচ্ছেন, এরপর সেই হাত দিয়ে স্পর্শ করছেন দরজার হাতল- এমন অবস্থায় ঘর জীবানুমুক্ত রাখা খুবই কঠিন। সুতরাং, পরিবারের এই অবস্থা থেকে থাকতে হবে সতর্ক। অন্যথায়, আপনিও পড়বেন অসুস্থতায়।
সূত্র : চিটশিট