শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
ভোলার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ এপ্রিল) করোনা ভাইরাস নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ভোলার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা খুশি খবর যে এখনো ভোলা করোনা ভাইরাসমুক্ত রয়েছে। আমরা এটাই চাই। এ অবস্থাই যেন ঠিক থাকে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখেতে হবে। বাইরে থেকে কাউকে আসতে দেওয়া যাবে না। কারণ বাইরের মানুষই এ ভাইরাস ছড়ায়।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। ভোলা একটি নদী ভাঙন কবলিত এলাকা, অনেক সময় নদী ভাঙনে মানুষ সর্বশান্ত হয়ে যায়। তাই ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে হবে, আমরা প্রতিটি মানুষকে ঘর করে দিবো, কেউ গৃহহীন থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভোলা থেকে উৎপাদিত পণ্য তরমুজ থেকে শুরু করে অন্য ফসল যাতে রাজধানী সহ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছানোর যায় সে ব্যবস্থা করা হবে এবং সে মোতাবেক নির্দেশ দেওয়া আছে। পণ্য পরিবহন উম্মুক্ত থাকবে। এতে কেউ বাধা দিবে না।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ভোলার করনো পরিস্থিতির কথা শোনেন এবং সবাইকে সরকারের নির্দশনা অনুযায়ী কাজ করার আহ্বান জানান।
এরআগে, ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জেলার করোনার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় কোনো করেনা রোগী পাওয়া যায়নি। ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, এরমধ্যে ৮৮ জনের রিপোর্ট হাতে পেয়েছি, সবগুলো রিপোর্ট নেগেটিভ। এখন পর্যন্ত কারো করোনা ধরা পড়েনি। নৌ বাহিনী, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করছি। জেলার আইনশৃঙ্খলা সুুষ্ঠু এবং সুন্দর রয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ৮৭৭ মেট্রিন টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা পেয়েছি। এরমধ্যে ১৬ লাখ টাকা ও ৪৭৭ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। তালিকা তৈরির মাধ্যমে ৩০ হাজার ৪৯৭ দরিদ্র ও কর্মহীন পরিবাররের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারিভাবে ১৫ হাজার ১৭২ পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসক ভোলা জেলাকে করোনামুক্ত রাখার ব্যাপারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভোলা-২ আসেনর সংসদ সদস্য আলী আজম মকুল, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, জেলা সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী, নৌবাহিনীর কমান্ডার, ডাকার-নার্স ও আলেমসমাজসহ জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।