বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
বিশ্বব্যাপী হানা দেওয়া নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বারবার হাত ধোয়া ও জীবাণুমুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে। হাতকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য বহুলভাবে ব্যবহৃত হয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কিন্তু বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার পর থেকেই বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে হ্যান্ড ওয়াশ ও স্যানিটাইজারের। তাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থীরা নিজস্ব ফর্মুলায় বিনামূল্যে বিতরণের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন শুরু করেছে।
রোববার (২২ মার্চ) বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও রোগীদের জন্য প্রথম স্যানিটাইজার তৈরি শুরু হয়। এসময় প্রতিটি ১০০ মিলিমিটার পরিমানের শতাধিক বোতল স্যানিটাইজার তৈরি করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রেহানা পারভিনের নেতৃত্বে চারজন শিক্ষার্থীর একটি দল এগুলো তৈরি করেন। এতে আর্থিক সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের দলে ছিলেন, বিভাগটির তৃতীয় বর্ষের মোহাম্মদ তানভীর এবং দ্বিতীয় বর্ষের শোয়েব সৈকত, রবিউল হাসান ও তাসনীম হোসেন।
স্যানিটাইজার তৈরির এমন উদ্যোগের ব্যাপারে ড. রেহানা পারভিন বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিজেদের হাত পরিষ্কার রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর হাত পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা অতীব জরুরি। এ কথা মাথায় রেখে আমাদের উপাচার্য স্যারের ইচ্ছায় ও শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে আমরা স্যানিটাইজার তৈরি শুরু করেছি।
তিনি আরও জানান, স্যানিটাইজারের কাঁচামাল প্রাপ্তিতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসন কিংবা অন্য মাধ্যমে কাঁচামালের আরও বেশি সরবরাহ যদি নিশ্চিত করা যায় তবে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস হানা দেওয়ার ফলে আমরা এক মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছি। এই বিপর্যয় প্রতিরোধে বরিশালের মানুষের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। এই প্রচেষ্টার কলেবর আরও ব্যাপক করা যায় কিনা সে ব্যাপারেও আমরা ভাবছি।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে বন্ধ আছে। বন্ধ শেষে শিক্ষার্থীদের জন্যও স্যানিটাইজার উৎপাদনের প্রচেষ্টা চালানো হবে।