শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪: প্রতারণা কাকে বলে দেখিয়ে দিলো বরিশাল নগরীর নবগ্রাম রোডের নোমো পাড়ার আরিফুল ইসলাম ফাহাদ। ৬ মাস প্রেম করে বিয়ের ৭ মাসের মাথায় সু-কৌশলে স্ত্রীকে নোটারীর মাধ্যমে তালাক দিলেন ফাহাদ। চাকুরিতে স্ত্রীর স্বাক্ষর প্রয়োজন বলে চারটি কাগজে স্বাক্ষর নেয় ফাহাদ। আরিফুল ইসলাম ফাহাদ (২৩) নোমো পাড়া এলাকার হুমায়ন কবিরের ছেলে।
ফাহাদের সাথে প্রতারণায় জড়িত রয়েছেন বরিশাল আইনজীবী সহকারি সমিতির সদস্য ও মরহুম আইনজীবী জুম্মানের সহকারী হুমায়ুন কবির।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন ফাহাদের স্ত্রী মানসুর আক্তার কলি (১৮)। তিনি বলেন, ৬ মাস প্রেম করার পরে তাদের বিবাহ হয়। ফাহাদ কোন বেকার থাকায় ফাহাদের সকল খরচা কলির পিতা বহন করতেন। বিয়ের সাত মাস পর্যন্ত ফাহাদের কোন চাকুরি হয়নি।
হঠাৎ কয়েক দিন ধরে চাকুরির কথা বলে তার (স্ত্রীর) স্বাক্ষর প্রয়োজন জানান ফাহাদ। তার স্বাক্ষর ব্যাতীত চাকুরি হবে না। তাই মঙ্গলবার ৪ ডিসেম্বর সকালে বরিশাল আদালতে নিয়ে আসেন কলিকে। সারাদিন হাসি-খুশি ছিলেন দুজনেই। আদালত পাড়ায় হাটা চলাও ছিল স্বাভাবিক।
পড়ে মোহরী হুমায়ন কবির নোটারীর মাধ্যমে ৩ টাকার স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয় কলির। এরপর কলিকে বসিয়ে রেখে চলে যায় ফাহাদ। ঘন্টাখানের পরে ফাহাদ মোবাইল ফোনের মাধ্যম জানান তোমাকে আমি তাল দিয়েছি। তুমিও স্ব-ইচ্ছায় তালাকে স্বাক্ষর দিয়েছ।
মুহুর্তের মধ্যে আকাশ ভেঙ্গে পড়ে কলির মাথায়। হাউ-মাউ করে কান্না শুরু করে কলি। আদালতের সকল মানুষ জড়ো হতে থাকে। সবাই জানতে চায় কি হয়েছে।
ফাহাদ মোবাইল ফোন বন্ধ করে ফেলে। পরে মোহরী হুমায়ুন কবিরকে ডেকে আনা হলে তিনি অকপটে সব স্বীকার করেন। স্থানীয় জনতা মোহরীর উপর চড়াও হয়। না জানিয়ে তালাকের কথা গোপন রেখে কলির স্বাক্ষর নিয়ে নোটারীর মাধ্যমে সকল কাজ সম্পন্ন করে মোহরী হুমায়ন কবির।
এ ব্যাপারে মানসুর আক্তার কলির বাবা কালাম খান বলেন, বিয়ের পড় তার মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। শেষ পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে তার মেয়েকে তালাক দিয়েছে ফাহাদ। তিনি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।