মোয়াজ্জেম হোসেন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের মুদি দোকানী মো.শাহজাহান হাওলাদারের বড় সন্তান মো.সিদ্দিক হাওলাদার ৫ম শ্রেণির পড়ালেখা শেষ করে বাবা, মা ছোট ভাই এবং তিন বোনকে নিয়ে সুখে শান্তিতে দিন কাটাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ বড়লোক হওয়ায় আশায় উপজেলার মহিপুর থানার কমরপুর গ্রামের খালেক হাওলাদারের পুত্র তার ফুফাতো ভাই মনির হাওলাদারের পরামর্শে তার সাথে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৭-২০১৮ ইং সালে মহিপুরের ট্রলার মালিক ইলিয়াসের ট্রলারে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যান এবং ভালোভাবেই দিন কাঁটাতে থাকেন।
২০১৮ ইং সালের আগস্ট মাসে সমুদ্রে ট্রলার দূর্ঘটনার শিকার হন এবং ট্রলারে থাকা ১৩ সদস্যদের মধ্যে ছয় জনকে অন্য ট্রলার এসে উদ্ধার করলেও সিদ্দিকসহ অপর সাতজন অদ্যাবধি নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকৃত সদস্যরা বলেন ট্রলারের হেড মাঝি মনির হাওলাদার সহ ছয়জন চুকানির মধ্যে থাকায় তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোস্টগার্ডের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান দিতে না পারায় হতাশ তাদের পরিবারের সদস্যরা।
সিদ্দিক হাওলাদারের একমাত্র চার বছরের শিশুকন্যা বাবার অনুপস্থিতে বাকরুদ্ধপ্রায় সিদ্দিকের পিতা মো.শাহজাহান হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, সিদ্দিকের মা তার শোকে পাগলপ্রায় তার পিড়াপিড়িতে মহিপুর জামে মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে গেলে তিনি তুলারাশির লোক দ্বারা বাঁটিচালান দিলে দেখতে পান সিদ্দিক হাওলাদার সহ বাকিরা অসুস্থ অবস্থায় কোন একটি দ্বীপে ঘোরাঘুরি করছেন। একথা শোনার পরে সিদ্দিকের মা ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় বিভিন্ন সংস্থার দ্বারস্থ হতে মরিয়া।