শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ন
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দিন দিন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভর্তির সংখ্যা বেড়েই চলছে। শনিবার (১০ আগষ্ট) হাসপাতালটিতে ৩৪০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন ৯৮ জন। ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব শুরু হওয়ার পর ২৪ ঘন্টায় এ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা এটি ।পাশাপাশি হাসপাতালে একত্রে এতো রোগী চিকিৎসাধীন থানার বিষয়টিও প্রথম। হাসপাতালের হিসেব অনুযায়ী, শনিবার (১০ আগষ্ট) হাসপাতালটিতে ৩৪০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ১৭৯ জন পুরুষ, ১০৮ জন মহিলা ও ৫৩ জন শিশু রয়েছে। এ হাসপাতালে এরআগে শুক্রবার (০৯ আগস্ট) ২৭৫ জন, বৃহষ্পতিবার(০৮ আগস্ট) ২৫৭ জন এবং বুধবার (০৭ আগস্ট) এ সংখ্যা ছিল ২৩৬ জন। আর এরআগে এ রোগীর সংখ্যা আরো কম ছিলো। হাসপাতালের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হওয়া মোট ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ৯৮ জন রোগীর মধ্যে পুরুষ ৫২ জন, নারী ২৬ জন ও শিশু ২০ জন রয়েছেন। আর আগের দিন ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভর্তির সংখ্যা ছিলো ৮৪জন। অপরদিকে ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন অর্থাৎ হাসপাতাল থেকে বিদায় নিয়েছেন ৩৩ জন রোগী। তবে শুক্রবার বিদয়া নেয়ার সংখ্যা ছিলো ৬৬ জন। উল্লেখ্য গত ১৬ জুলাই থেকে শুক্রবার (১০ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বরিশাল মেডিকেলে মোট ৭০২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। যারমধ্যে সুস্থ হয়ে বিদায় নিয়েছেন ৩৬২ জন এবং মৃত্যু বরণ করেছেন তিন জন। হাসপাতালের পরিচালন ডাঃ বাকির হোসেন বলেন, ঈদের আগ মুহুর্তে রোগীর সংখ্যা বাড়াটা শঙ্কার। কারণ এখন মানুষ গ্রামের বাড়িতে ফিরছে আর রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে আমরা আগাম সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশাকরি চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যহত হবে না। তিনি বলেন, আমি বলবো ঈদে ছুটি, ডাক্তার থাকবে কি না এ চিন্তা না করে ডেঙ্গুর লক্ষন দেখা দিলে সরাসরি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের স্মরনাপন্য হন। আমরা সবসময় মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছি। কোনভাবেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সেবা ব্যহত হবে না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে ৩ জন রোগী মৃত্যু বরণ করেছেন। যারা মুমুর্ষ অর্থাৎ শেষ মুহুর্তে আমাদের স্মরনাপন্য হয়েছে। আমরা বলবো শরীরে জ্বর বা ডেঙ্গুর লক্ষন দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিকে হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে আসার পরপরই চিকিৎসক ও সেবিকারা তাদের কার্যক্রম ও সহায়তা শুরু করে দেন। কিন্তু সরকারিভাবে সব ওষুধ পাওয়া যায়না। তাই বাহির থেকে স্যালাইনসহ অনেক কিছুই কিনতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি জায়গা সংকটও রয়েছে প্রচুর, যারমধ্যে ডেঙ্গু রোগী হলে আয়া-বুয়ারা কোন ধরণের সহায়তা করেন না।