শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বানারীপাড়ায় কলেজের অধ্যক্ষ দুর্বৃত্তদের হাতুড়িপেটায় গুরুতর আহত মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে পারলেন না বাবা, পথেই মৃত্যু বাউফলে সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কলাপাড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ব্যবসায়ীকে মারধর, ছিনতাই, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন।। শ্রমিক দল নেতা গ্রেফতার বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনায় কলাপাড়ায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রমিকনেতা আবুল কাশেম চৌধুরীর জন্য দোয়া মুনাজাত সাংবাদিককে মুঠোফোনে জেলা যুবদল নেতার হুমকি জুলাই যুদ্ধে জয়ী হলেও জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন বাউফলের হৃদয় বাউফলে অবৈধ ট্রলি আবারও কেড়ে নিলো একটি তাজা প্রান বাউফলে অবৈধ ট্রলি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নৃশংস গনহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বরিশালে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল প্রখ্যাত শ্রমিকনেতা জাফরুল হাসানের মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন কলাপাড়ায় চাচার পায়ের রগ কর্তন করলেন ভাতিজা কলাপাড়ায় এসএসসি পরীক্ষায় দ্বায়িত্ব গ্রহণকারী শিক্ষকদের কর্মশালা
কর্ণফুলী টানেলের ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন

কর্ণফুলী টানেলের ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন২৪ অনলাইন ডেস্ক : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিতব্য টানেলের সার্বিক কাজের ৪০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজ দ্রুতই এগিয়ে চলছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে।

‘ধীরে ধীরে সেগমেন্টগুলো আসছে। আনোয়ারা প্রান্তে বৈদ্যুতিক লাইন ও সাবস্টেশন নির্মাণকাজ চলমান। পতেঙ্গা অংশে রোডের কাজ চলছে।’ এ ছাড়া ওয়ার্কিং শাফট, কাট অ্যান্ড কভার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।

হারুনুর রশীদ চৌধুরী আরও বলেন, প্রকল্পের জন্য ৩৮১ একর জমির মধ্যে বেশিরভাগ জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়েও দেয়া হয়েছে। কিছু জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি, শিগগির কার্যক্রম শেষ হবে।

এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের মূল কাজের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর কাজের গতি বেড়েছে বলে প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন।

প্রতীকী ছবি

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায়। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সড়ক ও সেতু বিভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পে ঋণ হিসেবে চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা অর্থায়ন করছে। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ শেষে টানেল দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরুর কথা রয়েছে।

নকশা অনুযায়ী, কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গা প্রান্তের নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে টানেলটি আনোয়ারা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) এলাকায় গিয়ে শেষ হবে। টানেলে দুটি টিউব থাকবে। প্রতিটি টিউবের প্রস্থ হবে ১০ দশমিক ৮ মিটার। এ ছাড়া উভয় প্রান্তে ৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন আউটার রিং রোডের সঙ্গে টানেলটি যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ২০০৮ সালে লালদিঘীর ময়দানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে টানেল নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানির (সিসিসিসি) সঙ্গে চুক্তি সই হয়। চীন সরকার ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে জিটুজি ভিত্তিতে (সরকার টু সরকার) টানেল নির্মাণ প্রস্তাব অনুমোদন করে।

প্রতীকী ছবি

চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এর আদলে চট্টগ্রামকে গড়ে তোলার উদ্যোগ হিসেবে টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। ‘কন্সট্রাকশন অব মাল্টি লেন রোড টানেল আন্ডার দ্য রিভার কর্ণফুলী’ প্রকল্পের আওতায় এটি নির্মিত হচ্ছে।

টানেলটি চট্টগ্রাম নগরকে কর্ণফুলী নদীর অপর অংশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে। ফলে কর্ণফুলী নদীর দুই পাশে নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। পরোক্ষভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাধ্যমে সারাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এতে কক্সবাজারের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার কমে যাবে। এটি ভবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ টানেল নির্মাণের উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে, কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহরকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে। একভাগে রয়েছে নগর ও বন্দর এবং অপরভাগে রয়েছে ভারী শিল্প এলাকা। কর্ণফুলী নদীর ওপর ইতোমধ্যে তিনটি সেতু নির্মিত হয়েছে, যা বিরাজমান প্রচুর পরিমাণ যানবাহনের জন্য যথেষ্ট নয়। নদীর মরফলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পলি জমা একটি বড় সমস্যা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারীতার জন্য বড় হুমকি। এই পলি জমা সমস্যার মোকাবেলা করার জন্য কর্ণফুলী নদীর ওপর আর কোন সেতু নির্মাণ না করে এর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ জন্য সরকার চট্টগ্রাম জেলার দুই অংশকে সংযুক্ত করার জন্য কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD