শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলায় দালালের নিয়ন্ত্রণে চলে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, দুর্ভোগে আছে রোগীরা। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দালালের সাথে জরিত হাসপাতালের কর্তাবাবুরা-ও অনুসন্ধান করে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরেই এ হাসপাতালটি দালালের নিয়ন্ত্রণে চলছে আর সুবিধা নিচ্ছে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা।ভুক্তভোগী কামাল,হোসেন,জসিম,মাইনুল,ফজলে হাদি, নয়ন,রোকেয়া জান্নাত, পারভীন সহ একাধিক রোগীরা জানান।
হাসপাতালে রোগী ঢোকার সাথে সাথেই রোগীকে কিভাবে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পাঠাবে টেস্ট করানোর জন্য তা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে স্টাফ সহ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা এর ফাঁকে হাতিয়ে নিচ্ছে ৪০/৫০% কমিশন।
আর কমিশন নিতে গিয়ে রোগী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পছন্দের যায়গায় পরিক্ষা না করালে রীতিমত বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকারও হতে হয় বলে রোগীরা। নাম না প্রকাশ করার সত্বে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের একাধিক ডাঃ জানান, প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক এর মালিক হাসপাতালে চাকরি করলে কিভাবে দালাল নির্মুল করবে এই হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মুল করা কোনদিন সম্ভব হবেনা যতোদিন দালালের সাথে জরিত থাকবে স্টাফ সহ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃমনিরুল ইসলাম জানান, দলালরা যে রোগীদের কাগজ নিয়ে টানাটানি করে এবং রোগীদের হয়রানি করে। হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে রোগীরা তার কাছে অভিযোগ করেছে। তিনি বলেন যদি হাসপাতালের কোন লোক জরিত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা নিবেন।
দালাল নির্মুলে তার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। কিন্তু দালাল নির্মুলের অভিযানে দালালদেরকে আটক করা হলে রাজনৈতিক নেতাদের তদবিরে ছাড়িয়ে আনার কারনে হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মুল করা সম্ভব হবেনা বলে জানান।
ভোলার সচেতন মহলের দাবি দালাল নির্মুল করতে হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কমিশন খাওয়া বন্ধ করতে হবে তা না হলে হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মুল করা কোনদিন সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে ভোলা ডিবির ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ভোলা সদর হাসপাতালে দালালের অত্যাচারে সাধারণ রোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে তাদের কাছে অনেক রোগী সহ রোগীর আত্মীয় স্বজনরা অভিযোগ করার পর তারা অভিযান দিয়ে কয়েকবার দালাল আটক করার পরেও হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মূল করা সম্ভব হয়নি।অভিযান দেওয়ার পর কিছু দিন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কয়েকদিন পর দালালের উৎপাত আবার শুরু হয়।
ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কোন দালাল থাকবে না। কোন রোগী যাতে দালাল দ্বারা প্রতারিত না হয় সে দিকে প্রশাসনের নজর থাকবে এবং ভোলায় দালাল নির্মুলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।