শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি সড়ক সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল বাড়িতে ছাগল ঢোকাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর সংঘর্ষ, আহত-৪ বরিশালে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বরিশালের জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উৎস করের নির্ধারিত ফি কম নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার প্রমান পেয়েছে দুদক কলাপাড়ায় কৃষকদের অবস্থান ধর্মঘট ও স্মারকলিপি প্রদান কলাপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিএনপি কার্যালয়সহ ৫টি দোকান ভস্মীভূত কলাপাড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বাউফলে সড়ক সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন বছরের প্রথম দিনেই বিচ্ছিন্ন দীপ অঞ্চলে সহকারী পুলিশ সুপার বাউফলে গাঁজাসহ ২৫ লাখ টাকা ও স্বর্নালংকার উদ্ধার নববর্ষে দেশীয় খেলাধুলা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা ভারতের সাথে মিল রেখে মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি!

অভাবের তাড়নায় সন্তান বিক্রি!

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন২৪ অনলাইন ডেস্ক : অভাবের তাড়নায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সন্তান বিক্রি করে দিয়েছে দুইটি পরিবার।

জানা যায়, উপজেলার সর্বানন্দা ইউনিয়নের রাজবাড়ি গ্রামের হাবিল মিয়া দেড় বছর আগে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তার এক মেয়েকে এবং একই উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের উত্তর ধর্মপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলাম দুই বছর আগে ৫ হাজার ও তিন বছর আগে ১৫ হাজার টাকায় দুই মেয়েকে অন্যের হাতে তুলে দেন। 

মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় সন্তান বিক্রির টাকা দিয়ে দু’জনই কিনেছেন বসতভিটা। মেয়ের বিয়ে দেওয়াসহ মেটানোর চেষ্টা করেছেন সাংসারিক নানা ধার দেনা।

ভুক্তভোগী হাবিল মিয়া বলেন, সন্তান জন্ম দিলেও প্রতিপালনের সক্ষমতা আমার নাই। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। কোনো কাজ করতে পারি না। অন্যের বসতভিটায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন যাপন করছি। তারা সেখানে আর থাকতে দিচ্ছে না। এমতবস্থায় আমার এক ভাতিজার প্রস্তাবে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক সম্পদশালী ব্যক্তির কাছে এক মেয়েকে বিক্রি করি। ওই টাকা দিয়ে একখণ্ড বসতভিটা কিনেছি এবং এক মেয়েকে বিয়ে দেই।

আরেক ভুক্তভোগী আশরাফুল বলেন, সহায়-সম্বলহীন সংসারের অভাব-অনটনের কারণে দুটো বাচ্চা বিক্রি করে দিয়েছি। একটাকে বিক্রি করে পেয়েছি ৫ হাজার টাকা, অন্যটির বেলায় পেয়েছি ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা দিয়ে সংসারের অভাব ঘোচানোর চেষ্টা করেছি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার দুর্গম এলাকায় অসহায় এ মানুষের খোঁজ নেন না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ভোটের সময় চেয়ারম্যান, মেম্বার, এমপিরা আসেন ভোট চাওয়ার জন্য। কিন্তু ভোট শেষে তাদের আর দেখা মেলে না।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা-৫ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, অভাবের কারণে সন্তান বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD