শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: পিরোজপুরের ইন্দুরকানী ও কাউখালীতে পৃথক দুইটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির ছয় নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) রাতে এ দুই ঘটনায় ইন্দুরকানী ও কাউখালী থানায় পৃথক দুইটি মামলা করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় ঘোষিত কর্মসূচীকে বানচাল করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গণগ্রেফতার চলছে। এ কারণে নেতা-কর্মীরা এলাকা ছাড়া হচ্ছেন। তবে এসব মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার পতন ঠেকানো যাবে না। প্রয়োজনে জীবনের বিনিময়ে হলেও শহীদ জিয়ার সৈনিকরা সরকার পতন ঘটিয়ে ঘরে ফিরবে।
ইন্দুরকানী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বালিপাড়া বাজারে থাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের পাশে ককটেল হামলা করা হয়। এ সময় ওই কার্যালয়ে থাকা ইন্দুরকানী ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি আবুল বাশার (৬০), একই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হাওলাদার (৩০), ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বেলায়েত হোসেন (৪৪) ও সুমন ফরাজী (৩৯) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমরা দলীয় কার্যালয়ে একটি কর্মী সভা করছিলাম। এ সময় সেখানে ককটেল মারা হয়।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই রাতেই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ আহম্মেদ ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থাল থেকে কয়েকটি বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া আরও সাতটি তাজা ককটেল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত আবুল বাশার ওরফে বাদশা বাদী হয়ে ৭৫ জনের নামে এবং আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি বিস্ফোরক মামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচীব শরিফুল আজম সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া একই রাতে জেলার উপজেলা বিএনপির তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ।
জেলার কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৩ জনের নামে এবং ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা করা হয়েছে।