শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ অপরাহ্ন
ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করতে অস্বিকার করায় ধর্ষিতাকে অপহরন ও হত্যার অভিযোগে ৩০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষিতার বাবা মেহেন্দিগঞ্জ চরপশ্চিম জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মানিক গাজি বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
আদালরেত বিচারক আবু শামীম আজাদ মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে গ্রহনের নির্দেশ দেন।
অভিযুক্তরা হল চরপশ্চিম জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফয়সাল আকন, মকবুল ব্যাপারি, হেলার গাজি, সোহরাব হাওলাদার, বাহাদুর হাওলাদার। আরও রয়েছে একই উপজেলার লেঙ্গুটিয়া গ্রামের মাইন উদ্দিন মাঝি, কালাম মাঝি, মিজান মাঝি, ফয়সাল হাওলাদার, আসাদ হাওলাদার, ইবরাহিম মাঝি, রিয়াদ, রফিক, রাসেদ ও হাসিফ মাঝি সহ অজ্ঞাত ১৫ জন।
মামলা সূত্র জানা গেছে, একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় বাদির কন্যাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিক বার ধর্ষন করে ফয়সাল। এতে ভিকটিম অন্তস্বত্তা হয়ে পরলে বিয়ের জন্য বলায় ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর বরিশালে এনে গর্ভপাত ঘটায়।
পরে বিয়েতে অস্বীকার করায় গত বছরে ভিকটিম ধর্ষন মামলা করে। কিন্তু মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময় ভিকটিম সহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় বিবাদীরা।
এতে ভিকটিম এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে অভিযুক্তরা আরও ক্ষিপ্ত হয়। এর জের ধরে গত ৬ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম রাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে বের হলে অভিযুক্তরা তাকে অপহরন করে হত্যা করে।
পরে মরদেহ গোপন করার উদ্দেশে জাঙ্গালিয়া সুপারী বাগানে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় মামলা করলে বিচারক ওই আদেশ দেন।