শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসব না হলেও নতুন বছরের শুরুতে বই হাতে পেয়ে আনন্দে উৎফুল্ল পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বছরের প্রথম দিন সমষ্টিগত ভাবে বই বিতরণ না করে প্রতিটি শ্রেণিতে তিনটি ধাপে বই বিতরণ করা হচ্ছে। সকল ধরনের বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে আবার নতুন করে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সহপাঠীদের সাথে ক্লাস করবে এই প্রত্যাশায় উপকূলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে কলাপাড়া উপজেলায় ১৭১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, ৬৪টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা, ৩৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৮টি দাখিল মাদ্রাসা এবং একাধিক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নুতন বছরের বই বিতরণ করছে।
৭২নং দক্ষিণ চালিতাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবিল আহমেদ জানান, নতুন বই পেয়েছি। পোষ্টার কিনে মলাট দিতে হবে। আজ থেকে আবার লেখাপড়া শুরু হয়েছে। অনেক আনন্দ লাগছে।
নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার রুমা জানান, নুতন স্কুলে ভর্তি হয়েছি। নুতন বই নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসতে হবে। বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দ করতে পারবো।
কাঁঠালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ১ জানুয়ারি ৪র্থ এবং ৫ম শ্রেণীর বই বিতরণ করা হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।
খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আবদুর রহিম জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিনটি ধাপে তিনদিন করে মোট ১২ দিনে বই দেয়া সম্পন্ন করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মোখলেছুর রহমান জানান, উপজেলার এবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য ৬৩হাজার বইয়ের চাহিদা দিয়ে সব বই পেয়েছি। দাখিলে ৯২ হাজার ৮৩০টি চাহিদার ৬৪ হাজার ৬৪০টি, মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ২ লাখ ১১ হাজার ১৬৩ টি চাহিদার বিপরীতে ১লাখ ৩৮ হাজার ৭৪ খানা হাতে পেয়েছি। তিনি জানান, প্রাপ্ত বইয়ের ৯০ শতাংশ ইতিমধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।