বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
অবশেষে চালু হচ্ছে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিট। কনসালটেন্ট পদের একজন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তিনি যোগদান করবেন। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মন্ত্রনালয় থেকে মৌখিক ভাবে এক চিকিৎসক পদায়নের কথা জানিয়েছে। যদিও এখনো প্রজ্ঞাপন আকারে এ আদেশ প্রকাশ করা হয়নি। তবে যতদুর জানানো হয়েছে পদায়ন করা চিকিৎসক কনসালটেন্ট পদ মর্যাদার এবং তিনি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত আছেন।
পরিচালক বলেন, বার্ন ইউনিট চালু করতে হলে কনসালটেন্ট এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ২/৩ জন মেডিকেল অফিসার ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স প্রয়োজন। কিন্তুবর্তমানে এই বিষয়ের কোন মেডিকেল অফিসার নেই। তারপরও কনসালটেন্ট যোগদান করলে ইউনিটটি সচল করা হবে। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিট খুলেছি। সব কিছু ঠিকঠাক করে চালু করার প্রস্তুতি নিয়েছি। সস্প্রতি এ বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়। একই সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে বিভাগের এক মাত্র বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটটি অবস্থিত।
কিন্তু চিকিৎসক সংকটে এটি বন্ধ থাকায় শুক্রবার ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকান্ডের পর অগ্নিদ্বগ্ধ অর্ধ শতাধিক রোগীকে সার্জারী বিভাগে চিকিৎসা নিতে হয়। হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের কোন চিকিৎসক না থাকায় ঢাকা থেকে চিকিৎসক এসে অগ্নিদ্বগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু শুরুতে রোগীদেও অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিষয়টি পত্রিকার সাংবাদ এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টিগোচর করা হলে খুব দ্রুত সময়ে চিকিৎসক পদায়ন করার কথা জানানো হয়।
জানা গেছে, চিকিৎসক শূন্যতায় ১ বছর ৮ মাস ধরে বন্ধ পড়ে আছে হাসপাতালের বার্ন ও প্লাষ্টিক সার্জারি ইউনিট। ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল শেবচিম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের এক মাত্র চিকিৎসক এম এ আযাদের আকস্মিক মৃত্যু ঘটে। নতুন কোন চিকিৎসক পদায়ন না করায় এর পরপরই বন্ধ হয়ে যায় বরিশাল বিভাগে থাকা এক মাত্র বার্ন ইউনিটটি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও অধিদপ্তর বা মন্ত্রনালয় থেকে কোন চিকিৎসক পদায়ন করা হয় নি।
২০১৫ সালের ১২ মার্চ হাসপাতালের নিচতলায় আটটি শয্যা নিয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ চালু হয়েছিল। বিভাগে আটজন চিকিৎসক ও ১৬ জন নার্সের পদ রাখা হয়। পরে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিটটি ৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। চালু থাকা পাঁচ বছরে পাঁচ হাজারেরও বেশি রোগী বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছেন।