রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যা জোয়ারের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পানিও মঙ্গলবার সকালে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদী তীরবর্তী নিচু এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি জোয়ারের পানিতে বরিশাল নগরের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। ড্রেনের পানি উপচে পড়ে শহরের রাস্তাঘাটে প্রবেশ করছে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দুপুরে বরিশাল নগরের রসুলপুর, ভাটিখানা, সাগরদী, ধানগবেষণা রোড, জিয়ানগর, ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড, স্টেডিয়াম কলোনি ও সদর রোড, সাংবাদিক মাঈনুল হাসান সড়ক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। কীর্তনখোলার সঙ্গে যুক্ত ড্রেন দিয়ে এসব এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকেছে।
তবে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে জোয়ারের প্রভাব কমে গেলে পানি মেনে যাবে এবং এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় কীর্তনখোলা নদীর পানি বরিশাল বন্দর পয়েন্ট বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। অপরদিকে বিভাগের অপর ৫টি নদীর ৯টি পয়েন্টে সোমবার বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
আজও ওই ৫ নদীতে অস্বাভাবিক পানি প্রবাহ ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মিটার গেজ রিডার আব্দুর রহমান জানান, কীর্তনখোলার নদীর পানির বিপৎসীমা ২.৫৫ মিটার। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ২.৬০ মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলো জোয়ারের সময় পানিতে তলিয়ে যায়। এতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। তবে ৬ ঘণ্টা পর ভাটার সময় পানি নেমে যায়। এদিকে জোয়ারের পানির সাথে গত দুই দিন বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।