শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০২:১৭ অপরাহ্ন
বরিশাল : বরিশালের হিজলা উপজেলায় দুই প্যাকেট সিগারেট চুরির অভিযোগে এক যুবককে গাছের সাথে বেধেঁ অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনার ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হওয়া যুবকের নাম নির্মল চন্দ্র দাস। সে কাউরিয়া বাজারের কাঠমিস্ত্রি বড়জালিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বিজয় দাসের ছেলে।
শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কাউরিয়া বন্দরে এই ঘটনা ঘটে। শুধু নির্যাতনই নয় নির্যাতনের পাশাপাশি ওই যুবককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশ নির্যাতনকারী মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল সালাম সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা গেছে, দুই প্যাকেট সিগারেট চুরির অভিযোগ এনে নির্মল চন্দ্র দাস নামে এক সংখ্যালঘু যুবককে অমানবিক নির্যাতন করেন কাউরিয়া বন্দরের ব্যবসায়ী আব্দুল সালাম সরদার।
নির্মল চন্দ্র দাস কাঠমিস্ত্রি বড়জালিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বিজয় দাসের ছেলে। শনিবার বেলা ১১ টায় প্রকাশ্য জনসম্মুক্ষে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করছেন। শুধু নির্যাতন করেই ক্ষ্যান্ত হননি, তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে। পাশাপাশি আগামী ৭ দিনের মধ্যে এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। ১৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, নির্যাতনের সময় তাঁর স্ত্রী বাঁচাতে গেলে তাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। তবে ব্যবসায়ী সালাম এর সাথে আলাপকালে তিনি নির্যাতনের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। নির্যাতিত নির্মল চন্দ্র দাসের স্ত্রী রূপা দাস জানান, সকাল বেলা ব্যবসায়ী সালাম সরদার তার স্বামী নির্মল চন্দ্র দাসকে বাড়ি থেকে বাজারের খবর দিয়ে নিয়ে যান। তিনি বাজারে যাওয়ার পর থেকেই তাকে গাছের সাথে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করছেন সালাম। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। আমার স্বামী যদি চুরি করে, তবে তাকে থানা পুলিশ আছে গিয়ে দিতো, তারা বিচার করতো।
আমি আমার স্বামীকে নির্যাতনের বিচার চাই। হিজলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তারেকুল হাসান রাসেল বলেন, ‘গাছে বেধে নির্যাতনের ভিডিও পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। দুই প্যাকেট সিগারেট চুরির অপরাধে ওই ব্যক্তিকে গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করা হয়। এই ঘটনার মূল হোতা নির্যাতনকারী মুদী দোকানি আবদুস সালামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার নির্মল দাসকে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে।