বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৪০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
গলাচিপায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ নজরুল মাতুব্বরের বিরুদ্ধে কলাপাড়ায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্তদের আট দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘট আমরা আগামী ৫০ দিন সময় বেঁধে দিলাম শাসক নয় সেবক হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই ।। মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ কলাপাড়ায় টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত কুয়াকাটা সৈকতে অজ্ঞাত ব্যক্তির ম/র/দেহ উদ্ধার বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে কলাপাড়া পৌর ওলামা দলের কর্মী সভা ‎ফের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দের ঘন্টা পর বরিশাল – কুয়াকাটা মহাসড়ক ছেড়ে দিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলাপাড়ায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন মহিপুরে তিনটি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ অবশেষে বদলি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ‎খেপুপাড়া নেছারুদ্দীন কামিল মাদ্রাসায়  নবাগত শিক্ষক-কর্মচারীর যোগদান অনুষ্ঠান কলাপাড়ায় একই রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতি।। নগদ টাকাসহ স্বর্নালংকার লুট
বরিশালে খাবার সংকটে রোগীর স্বজন, এগিয়ে এলেন হোটেল মালিকরা

বরিশালে খাবার সংকটে রোগীর স্বজন, এগিয়ে এলেন হোটেল মালিকরা

Sharing is caring!

কঠোর লকডাউন কার্যকরের লক্ষ্যে বরিশালে আজ শনিবার থেকেই খাবার হোটেল ও রেস্তোরা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় প্রশাসন। এতে করে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীর স্বজনরা। রোগীদের খাবার হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হলেও ভোগান্তির শেষ ছিলো না স্বজনদের।

খাবার না পেয়ে মহাসংকটে পরা এসব মানুষদের পাশে মানবিক দিক বিবেচনা করে পাশে দাড়িয়েছে হাসপাতালের সামনের হোটেল মালিকরা। খিচুড়ি রান্না করে তা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে রোগীর স্বজনদের মাঝে। শনিবার (৩রা জুলাই) সকালে হাসপাতালের মূল গেট সংলগ্ন হোটেলগুলোর সামনে বিনামূল্যে এই খিচুড়ি বিতরণ করায় খুশি হয় সংকটে পরা মানুষগুলো। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে দেড়সহস্রাধিক রোগী ভর্তি থাকে।

প্রতি রোগীর সঙ্গে গড়ে ৩ জন থাকেন স্বজন। সে হিসাবে প্রতিদিন শেবাচিম হাসপাতালে রোগী ও স্বজন থাকেন ৫ সহস্রাধিক। হাসপাতাল থেকে শুধুমাত্র রোগীদের খাবার দেয়া হলেও তা মানসম্পন্ন না হওয়ায় বেশীরভাগ রোগী সেটা গ্রহন করেন না। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা রোগী ও স্বজনরা হাসপাতালের সামনের এলাকার হোটেল থেকে ৩ বেলা খাবার কিনে খান।

প্রশাসন হোটেলগুলো বন্ধ করে দেয়ায় শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠেই খাবার সংকটে পড়েন রোগী ও স্বজনরা। শেবাচিম হাসপাতাল সংলগ্ন বান্দ রোডে ‘নন্দীনি’ হোটেলের মালিক পবিত্র দেবনাথ বলেন, শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনদের বেশীরভাগই তিনবেলা খাবারের চাহিদা মেটান হাসপাতাল সংলগ্ন বাঁধ রোডে অবস্থিত ৯টি খাবার হোটেল থেকে।

শুক্রবার রাতে পুলিশ সদস্যরা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হোটেলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। ফলে শনিবার থেকে হাসপাতাল এলাকার সবগুলো খাবার হোটেল বন্ধ রয়েছে। পবিত্র দেবনাথ বলেন, শনিবার সকালে হোটেল বন্ধ দেখে খাবার নিতে রোগীর স্বজনদের মধ্যে হায়-হুতাশ শুরু হয়।

গোটা নগরীর হোটেল বন্ধ থাকায় তারা বিপাকে পড়েন। খাবারের জন্য হৈ-চৈ শুরু করে দেন। ঝুপরি চায়ের দোকানের রুটি-কলা মুহুর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এসব মানুষদের দূর্দশা দেখে ৯ হোটেল মালিক একত্রিত হয়ে ৬ মন চাল-ডাল দিয়ে ৮টি ড্যাগে খিচুরী রান্না করে বিনামূল্যে বিতরণ করেন।

রোগীদের স্বজনরা দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে সকালের খিচুরী সংগ্রহ করেন। সংখ্যা কয়েকশত হবে। দুপুর থেকে পরবর্তী বেলার খাবারের অনিশ্চয়তা রোগী ও স্বজনদের রয়েই গেছে। নগরীর সকল হোটেল রেস্তোরা বন্ধ থাকায় একই দূর্ভোগে আছেন মেস বাসিন্দা, নিন্ম আয়ের মানুষ এবং বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনরা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD