শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রেখে তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে।এরকম হেনেস্তা ও মমলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরাম ভোলা জেলা শাখা।
মঙ্গলবার বিকেলে ভোলা জেলার নতুন বাজার অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম তুহিন এক বিবৃতিতে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলার সহ সভাপতি আনোয়ার পাশা বিপ্লব তালুকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ফাহাদ। আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গোলাম কাদের মনসুর প্রমুখ। এছাড়াও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা সভাপতি হেলাল উদ্দিন নয়ন ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান,তজুমুদ্দিন উপজেলার আহবায়ক রফিক সাদী, মনপুরা উপজেলার আহবায়ক সালাউদ্দিন সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় নেতৃবৃন্দরা বলেন এমন একজন সাংবাদিককে হেনস্তা করা অন্যায়, অনভিপ্রেত। কী কারণে তাকে আটক রেখে মমলা দেয়া হয়েছে বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে চরম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে। সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, অবিলম্বে রোজিনা ইসলামকে মুক্তি ও মমলা প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে।