শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে বরিশালের বানারীপাড়া ও মুলাদী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বানারীপাড়ায় ভোট হচ্ছে ব্যালটে, অপরদিকে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে মুলাদী পৌরসভায়। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘেনে ভোট দেয়ার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও সুষ্ঠু-সুন্দর ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
দ্বিতীয় শ্রেণির বানারীপাড়া পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগের সুভাষ চন্দ্র শীল, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জিয়াউল হক মিন্টু এবং বিএনপির রিয়াজ আহমেদ মৃধা। প্রতীক বরাদ্দের পর বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর তেমন কোনো তৎপরতা ছিলো না। নৌকার প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র শীল প্রচারণা চালিয়েছেন একতরফা। ভোটের মাঠ পুরোপুরিই তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি নেতা-কর্মীদের।
১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়ে ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বানারীপাড়া পৌরসভার ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৮ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ১৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। দ্বিতীয় শ্রেণির বানারীপাড়া পৌরসভায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে মোট ভোটার ৯ হাজার ১২৭ জন। এরমধ্যে ৪ হাজার ৪৬২ জন পুরুষ ভোটার এবং নারী ভোটার ৪ হাজার ৪৬৫ জন। পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের ৩২টি বুথে ভোট দেবেন তারা।
বানারীপাড়া পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ চলছে ভোট কেন্দ্রতে ভোট দিতে আসা ভোটার বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভির সিনিয়র সাংবাদিক সুজন হালদার বলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণ চলছে আসা করি বাকী সময় পর্যন্ত এমন ভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট চলবে। কোনো রকমের ভয় নেই। ভোটারদের মধ্যে নারী ভোটারদের উপস্থিত চোখে পড়ার মতো।
এদিকে. প্রথম শ্রেণির মুলাদী পৌরসভায় এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী লীগের শফিকুজ্জামান রুবেল, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দিদারুল আহসান খান, বিএনপির আল-মামুন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম। ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শফিকুজ্জামান রুবেলের সমানতালে প্রচারনা চালিয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা শ্রমিক লীগ আহ্বায়ক দিদারুল আহসান খান। বিএনপি প্রার্থী আল-আমিন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মাঠে থাকলেও ভোটের মাঠে তেমন সারা ফেলতে পারেনি মন্তব্য সাধারণ ভোটারদের।
এই পৌরসভায় ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। ৯টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেবেন ১৭ হাজার ৪৭৬জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৭৪১জন এবং নারী ভোটার ৮ হাজার ৭৩৫জন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম জানান, বানারীপাড়া ও মুলাদী পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু-সুন্দর করতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মুলাদীতে ইভিএম পদ্ধতিতে এবং বানারীপাড়ায় ভোট হবে ব্যালটে। দুই পৌরসভার প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দুই পৌরসভায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করেন। ভোট সুষ্ঠু করতে বানারীপাড়ায় র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি এবং মুলাদীতে অতিরিক্ত হিসেবে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান তিনি।