রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুরের কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত বেলতলা খেয়াঘাটে মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী নিয়ে খেয়া পারাপারের কথা থাকলেও এখানে তা মানছেন না খেয়ার মাঝিরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ রয়েছে,খেয়া পারাপারে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন এ খেয়াঘাট থেকে কয়েক হাজার মানুষ খেয়া পারাপার হয়ে বরিশাল জেলা শহরে আসা যাওয়া করে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে খেয়া পারাপারের জন্য যাত্রী পরিবহনে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এখানে যাত্রী পারাপারে জন্য চলাচলরত খেয়াগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে যাত্রী পারাপার তো হচ্ছেই না, প্রতিটি খেয়ায় গাদাগাদি করে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। এ কারণে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় যাত্রীদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
অপরদিকে খেয়া পার হওয়া যাত্রীরা অভিযোগ করেন, সীমিত পরিসরে যাত্রী পারাপার হচ্ছেই না বরং আগে খেয়া পাড় হতে জনপ্রতি যে ভাড়া ছিল তা এখন বাড়িয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সরেজমিনে খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, খেয়া পারাপাররত বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে নেই কোনো মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেয়া চলাচলের কথা থাকলেও প্রতিটি খেয়া আগেরমত যাত্রীবোঝাই করে পারাপার করছে।
যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করছে না খেয়া ঘাট কতৃপক্ষ। বুখাই নগরের যাত্রী মোঃ আব্দুল অভিযোগ করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে খেয়াঘাটের মাঝিরা নিজেদের ইচ্ছেমতো খেয়া পারাপারের জন্য ট্রলারে যাত্রী ওঠাচ্ছেন। বর্তমানে সেই একই সংখ্যক যাত্রী নিয়েই ট্রলার ছাড়েন।
কিন্তু এখন জনপ্রতি ভাড়া বাড়িয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এক কথায় বলা যায় যাত্রীরা তাদের কাছে জিম্মি। তবে খেয়াঘাটের দায়িত্বে থাকা মোঃ সোহরাব রহমান সহ বেশ কয়েকজন জানান তারা সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রতিটি খেয়ায় যাত্রী পারাপার করছেন। ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এর কোনো উত্তর দিতে রাজি না বলে জানান। ক্ষিপ্ত হয়ে সংবাদকর্মীকে বলেন আপনাদের যা মনে চায় লিখতে পারেন।