সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৯ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্স :পবিত্র ঈদুল আযহা ( কুরবানী) উদযাপন শেষে কর্মস্থল ও বসবাসরত অবস্থানে ফিরে যেতে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ঢাকা ও চাঁদপুরগামী যাত্রিদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুন। যাত্রিদের উপচে পড়া ভিড়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঢাকার উদ্দেশ্যে বরিশাল লঞ্চঘাট ছেড়ে যাচ্ছে নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চগুলি। এতে বিপাকে পড়েছে কয়েক হাজার যাত্রি।কেউ আগেভাগে লঞ্চে উঠতে না পেরে ফের বাড়ি চলে যাচ্ছে। এই অবস্থায় যাত্রিদের চলাচলের সুবিধার্থে সপ্তাহব্যাপী শুধু বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস চালুর অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, লঞ্চের নিয়মিত ও স্পেশাল সার্ভিসে মোট ১৫ লঞ্চ যুক্ত হয়েছে। যা আগামী সপ্তাহব্যাপী প্রতিদিন ৯/১০ টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। লঞ্চগুলো হলো,নিয়মিত ছয়টি এমভি গ্রিনলাইন-৩, অ্যাডভেঞ্চার- ৯ কুয়াকাটা- ২,পারাবত- ১১ সুন্দরবন -১১ সুরভী- ০৯ লঞ্চ এবং স্পেশালে যুক্ত হয়েছে নয়টি লঞ্চ। এরমধ্যে এমভি পারাবত-০৯,এমভি মনামী, এমভি অ্যাডভেঞ্চার-০১,এমভি সুরভী-০৮,এমভি সপ্তবর্ণা-১০,এমভি কীর্তনখোলা-১০,এমভি রেডসান-০৫,এমভি রাজহংস-১০ ও এমভি ডায়মন্ড-০৩ লঞ্চ।মো:পাবেজ আকন নামে চাঁদপুরগামী এক লঞ্চযাত্রী ক্রাইমসিন২৪.কম কে জানান, গতকাল বৃহঃস্পতিবার (৬ আগস্ট) চাঁদপুর যাওয়ার জন্য বরিশাল লঞ্চঘাটে আসি। ঝালকাঠী থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটি বরিশাল লঞ্চঘাটে থেকে চাঁদপুর ভায়া ঢাকা উদ্দেশ্যে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃহঃস্পতিবার না থেমে সরাসরি লঞ্চটি ঢাকা চলে যায়। ফলে আর বৃহঃস্পতিবার চাঁদপুর যেতে পারিনি। তাই শুক্রবার আবার লঞ্চঘাটে আসছি। জাহানারা বেগম নামে ঢাকাগামী আরেক যাত্রি ক্রাইমসিন২৪.কম কে জানান, গত দুইদিন বিকালে বরিশাল লঞ্চঘাটে আসলেও ঠেলাঠেলিতে তিন সন্তান নিয়ে লঞ্চে উঠতে পারিনি। তাই শুক্রবার দুপুরে এসেই লঞ্চে উঠে বসে আছি। লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিসের বিষয়টি কে নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদী বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, পবিত্র ঈদুল আযহা (কোরবানী) উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরে যেতে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে ঢাকা ও চাঁদপুরগামী যাত্রিদের উপচে পড়া ভীর লক্ষ করা গেছে। এছাড়াও বিকেলের মধ্যেই লঞ্চের ডেক,ছাদসহ বিভিন্ন স্থান যাত্রিদের চাপে ভড়ে যায়। ফলে যাত্রিদের চাপে নির্ধারিত সময়ের আগেই ঢাকার উদ্দেশ্যে বরিশাল লঞ্চঘাট ছেড়ে যাচ্ছে নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চগুলি। লঞ্চে উঠতে না পেরে অনেক যাত্রি তাদের গন্তব্যে স্থানে পৌঁছাতে পারেনি। তাই যাত্রিদের সুবিধার্থে নিয়মিত চলাচল লঞ্চের সাথে আরো কয়েকটি লঞ্চ যুক্ত করে মোট ১৫ টি লঞ্চ সপ্তাহব্যাপী স্পেশাল সার্ভিসে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।